সালেম: যে ফ্রিজারে মৃতদেহ থাকে সেই ফ্রিজারে ২৪ ঘণ্টা বন্দি থাকল জীবন্ত এক মানুষ৷ অবাক করা এমন ঘটনাই ঘটেছে তামিলনাড়ুর সালেমে৷ অল্পের জন্যে প্রাণে বেঁচে যান ওই বৃদ্ধ৷ কিন্তু এমন অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটল কীভাবে? কীভাবে ওই ফ্রিজারে ঢুকলেন বৃদ্ধ? জানা গিয়েছে তামিলনাড়ুর সালেম শহরে নিজের ৭০ বছরের ভাই সর্বানন ও নিজের বোনের মেয়ে গীতার সঙ্গে থাকতেন বছর চুয়াত্তরের বালা সুব্রহ্মণ্যম কুমার৷ গত দুমাস ধরে বিছানায় শয্যাশায়ী হয়ে গিয়েছিল বৃদ্ধ সুব্রহ্মণ্যম৷ কিছুদিন ধরে তার বোনের মেয়ে অসুস্থ ছিল৷ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ একইসময়ে বাড়িতে থাকা বালা সুব্রহ্মণ্যমও অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ এমনিতেই বয়সজনিত কারণে শরীর ভালো যাচ্ছিল না তার৷
সেইসময় বৃদ্ধ সুব্রহ্মণ্যমের ভাই সর্বানন একটি ফ্রিজার সংস্থায় ফোন করে ফ্রিজারের অর্ডার দেয়৷ ফ্রিজার সংস্থাকে সর্বানন জানান তার দাদার মৃত্যু হয়েছে৷ মৃতদেহ ফ্রিজারে রাখতে হবে৷ সেই কথা মত ফ্রিজার সংস্থার লোকেরাও এসে ফ্রিজার দিয়ে যায়৷ এরপর নিজের দাদাকে সেখানে ভরে দেয় সর্বানন এবং তার সমস্ত আত্মীয়দের ফোন করে তার দাদার মৃত্যুর খবরও দেয় সে৷ খবর পেয়ে তার বাড়িতে আসে আত্মীয়রা৷ তারা এসে ফ্রিজার খুলে দেখে এখনও বেঁচে আসে বালা সুব্রহ্মণ্যম কুমার৷ তড়িঘড়ি তাকে ফ্রিজার থেকে বের করে হাসপাতালে ভর্তি করে তার আত্মীয়রা৷ বর্তমানে বৃদ্ধ সুস্থ রয়েছে বলে খবর৷
ঘটনায় খবর দেওয়া হয় পুলিশে৷ তারা সর্বানন্দকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানিয়েছে তার মনে হয়েছিল তার দাদা হয়ত মারা গিয়েছে৷ সেজন্যই ফ্রিজারে দাদার দেহ রেখে দেয় সে৷ এদিকে সর্বাননের পরিবারের লোকেরা জানিয়েছে তার মানসিক সমস্যা রয়েছে৷ ঘটনায় তদন্ত করছে সুরমঙ্গলম থানার পুলিশ৷ তবে সর্বাননকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ৷ যদিও অন্য আরেকটি সূত্রের দাবি, ব্যক্তিগত শত্রুতা বা সম্পত্তির লোভে ওই বৃদ্ধকে খুন করার চক্রান্ত করা হয়েছিল কি না, তা নিয়েও তদন্ত হবে।