উত্তর প্রদেশের প্রতিটি থানায় থাকবে মহিলা হেল্প ডেস্ক, ঘোষণা যোগী সরকারের

লখনউ: রাজ্যের মহিলাদের সুরক্ষা জোরদার করার দিকে এবার নজর দিতে চায় উত্তরপ্রদেশ সরকার। এই নিয়ে সম্প্রতি নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বৃহস্পতিবার রাজ্যের সমস্ত থানায় মহিলা সহায়তা ডেস্ক বা উইমেন হেল্প ডেস্ক রাখার ঘোষণা করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মহিলারা অনেক সময়ই থানায় গিয়ে পুরুষ পুলিশকর্মীকে তাদের সমস্যার কথা জানাতে পারে না। সংকোচ বোধ করে। সেক্ষত্রে প্রতিটি থানায় মহিলা হেল্প ডেস্ক থাকলে কাজে সুবিধা হবে।

886a33761d7756fc9fad06f28e80ba58

লখনউ: রাজ্যের মহিলাদের সুরক্ষা জোরদার করার দিকে এবার নজর দিতে চায় উত্তরপ্রদেশ সরকার। এই নিয়ে সম্প্রতি নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বৃহস্পতিবার রাজ্যের সমস্ত থানায় মহিলা সহায়তা ডেস্ক বা উইমেন হেল্প ডেস্ক রাখার ঘোষণা করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মহিলারা অনেক সময়ই থানায় গিয়ে পুরুষ পুলিশকর্মীকে তাদের সমস্যার কথা জানাতে পারে না। সংকোচ বোধ করে। সেক্ষত্রে প্রতিটি থানায় মহিলা হেল্প ডেস্ক থাকলে কাজে সুবিধা হবে।

সামনেই নবরাত্রি উৎসব। এ নিয়ে চিন্তিত রাজ্যের স্বরাষ্ট্র বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তাঁরা জানিয়েছেন যে আসন্ন নবরাত্রি উৎসবটি মহিলাদের সুরক্ষা, মর্যাদা ও ক্ষমতায়নের প্রতীক। তাই ১৭ অক্টোবর থেকে একটি বিশেষ প্রচার চালু করা হবে। যার নাম ‘মিশন শক্তি’। এই অভিযানের আওতায় মহিলা শক্তির প্রতি বিশ্বাস ও সংকল্প দৃঢ় করার জন্য রাজ্যে বেশ কিছু কর্মসূচির আয়োজন করা হবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত, শিল্প তালুক, স্কুল, সরকারি অফিস, দুর্গাপূজা প্যান্ডেল থেকে শুরু করে রামলীলাতেও এই কর্মসূচি থাকবে। উত্তর প্রদেশ পুলিশের এক কর্মকর্তা এই খবর জানিয়েছেন। ডিজিপি সদর দফতরের অপর এক প্রবীণ কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে নারীদের সুরক্ষার প্রতি সরকারের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে তা স্পষ্টতই প্রমাণিত। কারণ লখনউয়ের বিভিন্ন ক্রসিংগুলিতে ইতিমধ্যেই পিংক বুথ চালু করা হয়েছে।

গত বছরও উত্তর প্রদেশ পুলিশ ঘোষণা করেছিল যে বিভিন্ন সময়ে রাস্তায় একা যদি কোনও মহিলা সমস্যায় পড়েন তবে তাঁরা ১১২ ডায়াল করতে পারেন। এছাড়া প্রতিটি মোড়ে ইউনিফর্মে এসকর্টস খুঁজতে পারেন তাঁরা। এর বাইরে, লখনউ সহ রাজ্যের বড় বড় জেলাগুলির সমস্ত বড় ক্রসিংগুলিতে মহিলা পুলিশকেও বাধ্যতামূলকভাবে মোতায়েন করা হয়েছে। তাঁদের বেশ কয়েকজনকে নারীর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে শরীরে ক্যামেরা পরতেও বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত হাথরস কাণ্ডের পর একের পর এক অভিযোগ উঠছে উত্তর প্রদেশ সরকার ও পুলিশের বিরুদ্ধে। তার মধ্যে নির্যাতিতার দেহ দাহ করে দেওয়া থেকে মিডিয়ার কাজে বাধা দেওয়া সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তাই যাতে নতুন করে আর কোনও সমস্যা তৈরি না হয় সেদিকে নজর দিচ্ছে যোগী সরকার। সামনে নবরাত্রি ও উৎসবের মরশুম থাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *