চটজলদি লকডাউনের সিদ্ধান্তেই বাজিমাত, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে: প্রধানমন্ত্রী

দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই ভালো, তা অনেক আগে থেকেই দাবি করে আসছেন প্রধানমন্ত্রী

c3ad6258bcf5a4b22d400e66f37657c0

নয়াদিল্লি: দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই ভালো, তা অনেক আগে থেকেই দাবি করে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু এর বিজেপি সরকারও একাধিক পরিসংখ্যান তুলে ধরে এই দাবিকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। একবার ফের দেশের ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়ে মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দাবি করলেন, আজ ভারতে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের সংখ্যা দিন দিন কমছে তার কারণ, দেশের সঠিক সময়ে লকডাউন সিদ্ধান্ত কার্যকরী করা হয়েছে। অন্যান্য অনেক দেশের আগেই ভারত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে দাবি প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের।

পিএমও বা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়, আজ দেশে দিনপ্রতি ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা কমছে, অন্যদিকে সুস্থতার হার বাড়ছে। এর অন্যতম প্রধান কারণ সঠিক সময় লকডাউন সিদ্ধান্ত কার্যকরী করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছেন, অন্যান্য অনেক দেশের আগেই ভারতে মাস্ক পরা নিয়ে বাধ্যবাধকতা চালু করেছিল। পরিস্থিতির গুরুত্ব অনেক আগেই বুঝেছিল ভারত সরকার, সেই কারণেই আজ দেশের ভাইরাস পরিস্থিতি যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে। তিনি জানিয়েছেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের সুস্থতার হার সবচেয়ে বেশি। এই মুহূর্তে দেশে ৮৮ শতাংশ ভাইরাস আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

 
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, প্রায় ৮৪ দিন পর দেশে দিনপ্রতি ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৫০,০০০-এর নিচে। গত ২৪ ঘন্টায় ভারতে নতুন করে ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬,০০০ জন, সুস্থ হয়েছেন ৬৯,৭২০ জন। সুস্থতার হার ৮৮.৬ শতাংশ। দেশের মোট ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৭৫,৯৭,০৬৩ জন, মোট মৃত্যু ১,১৫,১৯৭ জন। প্রসঙ্গত, বিশ্বে ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে ৪ কোটি, মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১১ লক্ষ।

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক ট্যুইট বার্তায় দাবি করা হয়েছে, ছ-সপ্তাহ পর দেশে অ্যাক্টিভ আক্রান্ত ৮ লক্ষের নীচে নেমে এসেছে। এখন ধারাবাহিক ভাবেই অ্যাক্টিভ আক্রান্ত কমতে শুরু করেছে। ২২ রাজ্য/ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ২০ হাজারের নীচে অ্যাক্টিভ আক্রান্ত। মাত্র তিনটি রাজ্যে ৫০ হাজারের উপর অ্যাক্টিভ আক্রান্ত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *