পটনা: পরের মাসে বিধানসভা নির্বাচন বিহারে৷ তার আগে ইস্তেহার পেশ করল ভারতীয় জনতা পার্টি৷ এই ইস্তেহারে রয়েছে একের পর এক চমক৷ ইস্তেহারে বিজেপি জানিয়েছে, ভোটে জিতলে ১৯ লক্ষ মানুষকে চাকরি দেওয়া হবে৷ বিজেপি চাকরি ছাড়াও তাদের এই ইস্তেহারে জানিয়েছে, সবাইকে বিনামূল্যে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে৷ এছাড়া ৩ লক্ষ শিক্ষক নিয়োগ করা হবে৷ এছাড়াও ২০২২ সালের মধ্যে ৩০ লক্ষ বাড়িতে শৌচালয় এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ১ লক্ষ চাকরি দেওয়া হবে৷ এমনই প্রতিশ্রুতি দিয়ে এদিন ইস্তেহার প্রকাশ করা হয়৷ এদিন ইস্তেহার প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই, অশ্বিনী চৌবে, ভুপেন্দ্র যাদব প্রমুখরা৷ তবে বিজেপির এই ১৯ লক্ষ চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি কী আরজেডির চাপে পড়ে? যা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন৷
প্রসঙ্গত, ক্ষমতায় এলে ১০ লক্ষ তরুণ ও তরুণীকে চাকরির সুযোগ দেবে আরজেডি৷ চারদিন আগে নির্বাচনী ইস্তেহারে এমনই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব৷ তেজস্বির এই ঘোষণাকে হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার৷ আরজেডিকে নিশানা করে তিনি বলেছিলেন, ‘‘বেতন দেওয়ার টাকা কোথা থেকে আসবে? জাল নোট ছাপাবেন নাকি?’’ অথচ জেডিইউ-র জোটসঙ্গী বিজেপিই সেই চাকরির প্রতিশ্রুতিই দিল এবার৷ এমনকি আরজেডি-র চেয়ে ৯ লক্ষ বেশি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে গেরুয়া শিবির৷ ইস্তেহারে তারা জানিয়েছে, ভোটে জিতলে ১৯ লক্ষ মানুষকে চাকরি দেওয়া হবে৷ এখন প্রশ্ন উঠছে চাপে পড়েই কী এই সংখ্যার চাকরির প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি?
এই প্রসঙ্গে পাল্টা নীতীশ কুমারকেও আক্রমণ করেছিলেন তেজস্বী যাদব৷ তিনি বলেন, উনি ‘শারীরিক ও মানসিক ভাবে ক্লান্ত’ হয়ে পড়েছেন৷ এখানেই শেষ নয় লালুপুত্র আরও বলেন, ‘‘১৫ বছর সরকার চালানোর পরে উনি বলছেন টাকা কোথায়? নীতি আয়োগ বলেছে, বিহারের উন্নয়নের জন্য আরও সাড়ে পাঁচ লক্ষ চাকরি প্রয়োজন।’’ ফলে চাকরির এই প্রতিশ্রুতি নিয়ে যখন জোর চাপানউতোর চলছে নীতিশ ও তেজস্বীর মধ্যে তখনই আরও বেশি সংখ্যক চাকরির প্রতিশ্রুতি দিল নীতিশের জোটসঙ্গী বিজেপি৷ যে নীতিশ কুমার তেজস্বীর প্রতিশ্রুতির হেসে উড়িয়ে ছিলেন বিজেপির এই ইস্তেহারের পর এপ্রসঙ্গে কী বলবেন তিনি? উঠছে প্রশ্ন৷