নিয়ন্ত্রণরেখায় হেরফের বরদাস্ত করা হবে না! চীনকে চোখ রাঙালেন রাওয়াত

একাধিকবার দুই দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বৈঠক হলেও সমাধানসূত্র মেলেনি এখনো।

e0419fbc4dc47feb985c32dd0bdd1034

নয়াদিল্লি: লাদাখ সীমান্তে ভারত এবং চীনের সেনাবাহিনীর সংঘর্ষের কেটে গেছে বহুদিন। কিন্তু উত্তেজনা একফোঁটা কমেনি দেশে। একাধিকবার দুই দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বৈঠক হলেও সমাধানসূত্র মেলেনি এখনো। এরই মাঝে একাধিকবার উত্তেজনাপূর্ণ মন্তব্য করেছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর সিডিএস বিপিন রাওয়াত। এক বার ফির তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করে চীনকে হুংকার দিলেন তিনি। স্পষ্ট জানালেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় কোন রকম পরিবর্তন বরদাস্ত করা হবে না।

ডিফেন্স ন্যাশনাল কলেজের হীরক জয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত বলেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় স্থিতাবস্থা ফেরাতে উদ্যোগী ভারতীয় সেনা। এক্ষেত্রে সীমান্তে কথা নিয়ন্ত্রণরেখায় কোনরকম হেরফের বরদাস্ত করা হবে না। এক্ষেত্রে তিনি যে পরোক্ষভাবে চিনতেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে নিজের বক্তব্যের মধ্যেই এলএসি প্রসঙ্গে চীনকে তুলোধনা করেন তিনি। রাওয়াত আরো বলেন, লাদাখ সীমান্তে চীনের সেনাবাহিনী যা করেছে তার ফল এখন তারা ভুগছে। চীন ভেবেছিল ভারত হয়তো পাল্টা আক্রমণ করতে পারবে না। কিন্তু ভারতীয় সেনাবাহিনী লাদাখ সীমান্তে চীনের সেনাবাহিনীকে যোগ্য জবাব দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত একাধিকবার ভারত এবং চীন বৈঠক করেছে লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা প্রসঙ্গে। কিন্তু কোন অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফের বৈঠকে বসবে ভারত এবং চীন। তবে তার আগে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিসিডিএস বিপিন রাওয়াতের মন্তব্য যথেষ্ট উত্তেজনা তৈরি করেছে। এর আগে অবশ্য তিনিই বলেছিলেন, সীমান্তের উত্তেজনা কমাতে সেনাবাহিনীর প্রয়োজন পড়বে। 

উল্লেখ্য, লাদাখ সীমান্তের ঘটনার পর চীনের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। একাধিক চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যার ফলে আর্থিক ভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেজিং সরকার। পরবর্তী ক্ষেত্রে আরও কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ভারতের তরফে। যদিও নিজেদের দাবিতে অনড় রয়েছে চীন, ওইটা তারা ভারতকেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য। তবে যতক্ষণ না পর্যন্ত বৈঠক থেকে কোনও সমাধান সূত্র বেরোচ্ছে, ততক্ষণ দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বজায় থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *