নয়াদিল্লি: সর্বসাধারণের জন্য করোনা ভাইরাসের টিকার ব্যবস্থা করতে আরও এক বছর অপেক্ষা করতে হবে, আর্থাৎ ২০২২-এর আগে সবার জন্য করোনার টিকা পাওয়া যাবে না বলে মনে করেন এইমসেরর ডিরেক্টর তথা দেশের করোনা সম্পক্তির জাতীয় টাস্ক ফোর্সের সদস্য রণদীপ গুলেরিয়া৷ তিনি মনে করেন, দেশের সব বাজারে করোনার টিকা আসতে এক বছরেরও বেশি সময় লাগবে৷
সিএনএন-নিউজ ১৮ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রণদীপ গুলেরিয়া বলেন, সাধারণ মানুষের জন্য টিকার ব্যবস্থা আরও এক বছরের বেশি সময় লাগবে৷ তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের দেশের জনসংখ্যা অনেক বেশি, আমাদের দেখতে হবে কীভাবে ফ্লু ভ্যাকসিনের মতো আমরা বাজার থেকে টিকা আনতে পারি এবং সেটা নিতে পারি। সেটাই আসল পরিস্থিতি৷’’ করোনার টিকা চলে এলে ভারতের মতো দেশে কী ধরণের চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে, সে প্রশ্নের উত্তরে রণদীপ গুলেরিয়া জানান, দেশের প্রত্যেকটি প্রান্তে যাতে করোনার টিকা পৌঁছায় সেই ব্যবস্থা করাই হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ৷
তাঁর কথায়, ‘‘প্রয়োজনীয় সংখ্যামতো সিরিঞ্জ, সূঁচ থেকে শুরু করে সবকিছুর ব্যবস্থা করে দেশের সবথেকে প্রান্তিক জায়গাতেও নির্বিঘ্নি টিকা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা ভারতের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ৷’’ তিনি মনে করেন, প্রথম ভ্যাকসিনের পর বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন দ্বিতীয় একটি ভ্যাকসিন বাজারে এলে সেটির ব্যবস্থা করা হবে দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ। এআইআইএমএস ডিরেক্টরের কথায়, “যদি পরে আরও একটি ভ্যাকসিন বাজারে আসে, এবং যদি দেখা যায়, প্রথমটির থেকে সেটি বেশি শক্তিশালী, তাহলে আমরা কীভাবে সেটি দেওয়ার ব্যবস্থা করব?কীভাবে সেই সংশোধন করা হবে?কীভাবে স্থির করা হবে কার ভ্যাকসিন এ এবং কার ভ্যাকসিন বি প্রয়োজন?অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমাদের এই দীর্ঘপথ পাড়ি দিতে”। ভ্যাকসিনের সঙ্গে সঙ্গেই করোনা বিদায় নেবে না বলে মনে করেন এআইআইএমএস ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া।
দেশে প্রতিদিন বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বেশ কিছু রাজ্যে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও অনেক জায়গায় পাল্লা দিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আনলকপর্ব শুরু হওয়ায় পথে নামতে শুরু করেছে সাধারণ মানু। এই পরিস্থিতি ভ্যাকসিন কবে বাজারে আসবে এবং সর্বসাধারণের জন্য পাওয়া যাবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। রণদীপ গুলেরিয়ার কথা মিললে, আগামী এক বছর অপেক্ষার পর বাজারে আসবে করোনা টিকা। তার আগে পর্যন্ত সবাইকে মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্য বিধি৷