নৃশংস! ৬ বছরের শিশুকে গণধর্ষণ করে কুপিয়ে বার করা হল তার ফুসফুস

নৃশংস! ৬ বছরের শিশুকে গণধর্ষণ করে কুপিয়ে বার করা হল তার ফুসফুস

কানপুর: পৈশাচিক৷ ছয় বছরের শিশুকে গণধর্ষণ করে নৃশংস ভাবে তার শরীর থেকে ফুসফুস বার করে আনল অপরাধীরা৷ ঘটনাস্থল সেই উত্তরপ্রদেশ৷ রবিবার স্থানীয় জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয় শিশুটির ক্ষতবিক্ষত দেহ৷ কালাযাদু করার জন্যই শিশুটির দেহ থেকে ফুসফুস বার করে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে অভিযুক্তরা৷ যাতে একটি মহিলা সন্তান জন্ম দিতে পারে৷  

আরও পড়ুন- অবিশ্বাস্য গতিতে ‘সুস্থ হচ্ছে’ ভারতের অর্থনীতি! বলছে অক্সফোর্ডের রিপোর্ট

দেওয়ালির রাতে হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যায় শিশুটি৷ তার বাড়ি ঘাতমপুর এলাকায়৷ রবিবার উদ্ধার হয় তার দেহ৷ এই ঘটনায় দুই অভিযুক্ত আনকুল কুরিল (২০) এবং বীরেন (৩১) নমে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলশি৷ এএসপি ব্রজেশ শ্রীবাস্তব বলেন, এরাই শিশুটিকে হত্যার পর তার দেহ থেকে ফুসফুস বার করে আনে৷ তার পর সেটি মূল ষড়যন্ত্রকারী পরশুরাম কুরলির হাতে তুলে দেয়৷ যাতে এই ফুসফুস দিয়ে তারা কালাযাদু করতে পারে৷ সোমবার পুলিশের জালে ধরা পড়ে পরশুরাম৷ আটক করা হয়েছে তার স্ত্রীকেও৷ কারণ পুরো ঘটনাটাই জানত সে৷ 

আরও পড়ুন- করোনা রুখতে বাংলার ভূমিকায় খুশি কেন্দ্র, অমিত শাহের বৈঠকে সিলমোহর

এসপি জানান, ধরা পড়ার পর প্রথমে পুলিশকে ভুল পথে পরিচালনা করার চেষ্টা করেছিল পরশুরাম৷ কিন্তু লাগাতার জেরার মুখে সত্যি স্বীকার করে নেয় সে৷ পরশুরাম জানায় ১৯৯৯ সালে তার বিয়ে হয়৷ কিন্তু এখনও সন্তানের মুখ দেখতে পায়নি৷ এই সমস্যার সমাধান করতে তার ভাইপো আনকুল এবং তার বন্ধু বীরেনের সঙ্গে কথা বলে পরশুরাম৷ একটি ছোট মেয়েকে অপহরণ করে তার ফুসফুস বার করে আনার পরিকল্পনা করে তারা৷ দেওয়ালির রাতে প্রচণ্ড নেশা করে ওই শিশুটিকে তুলে আনে আনকুল আর বীরেন৷ বাজি কেনার জন্য সেই সময় পাড়ার দোকানে গিয়েছিল শিশুটি৷ তখনই তাকে অপহরণ করে পাশের জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানে নির্মমভাবে শিশুটিকে ধর্ষণ করে তাকে খুন করে আনকুল ও বীরেন৷ বার করে নেয় তার ফুসফুস৷ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির পসকো আইনে মামলা করা হয়েছে৷ কানপুরের ডিআইজি প্রীতিন্দর সিং বলেন, ঘটনার তদন্তে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ ও স্নিফার ডগ আনা হয়েছে৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 + eleven =