শারীরিক অবস্থার অবনতি, ভেন্টিলেশনে অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ

গুয়াহাটি: আসামের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের স্বাস্থ্যের অবস্থা অবনতি হয়েছে। মাল্টি অর্গান ফেলিওরের কারণে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে এবং তিনি শ্বাস নিতে অসুবিধায় পড়ছেন। ফলে প্রায়শই অজ্ঞান হয়ে পড়েছেন তিনি বলে অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন।

গুয়াহাটি: আসামের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের স্বাস্থ্যের অবস্থা অবনতি হয়েছে। মাল্টি অর্গান ফেলিওরের কারণে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে এবং তিনি শ্বাস নিতে অসুবিধায় পড়ছেন। ফলে প্রায়শই অজ্ঞান হয়ে পড়েছেন তিনি বলে অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন।

মন্ত্রী বলেন, ৮৬ বছর বয়সি অসমের প্রবীণ কংগ্রেস রাজনীতিবিদ ৩ নভেম্বর থেকে নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে (এনআইভি) রয়েছেন। কোভিড জটিলতার কারণে তাঁকে গুয়াহাটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (জিএমসিএইচ) ভর্তি করা হয়েছিল। এদিন গগৈয়ের স্বাস্থ্যের অবনতির কথা শুনে হাসপাতালে এসেছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি জানান “আজ বিকেলে শ্বাসকষ্টের কারণে তার অবস্থার অবনতি ঘটে। তাই, চিকিৎসকরা একটি ইনটুয়েশন ভেন্টিলেটর শুরু করেছিলেন। এটি মেশিন ভেন্টিলেশন।” মন্ত্রী আরও বলেন, তরুণ গগৈ সম্পূর্ণ অচেতন রয়েছেন এবং মাল্টি অর্গান ফেলিওরে ভুগছেন।

তিনি বলেন, “ওষুধ এবং অন্যান্য উপায়ে তাঁর অঙ্গগুলি পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। চিকিৎসকরাও ডায়ালাইসিসের চেষ্টা করছেন। তবে, পরবর্তী ৪৮-৭২ ঘন্টা খুব জটিল এবং আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।” মিঃ শর্মা বলেন যে জিএমসিএইচের চিকিৎসকরা দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন এবং তাঁকে এই অবস্থায় রাজ্যের বাইরে স্থানান্তরিত করার কোনও সম্ভাবনা অস্বীকার করেছেন। “আমরা নিয়মিত পরিবারকে আপডেট করছি এবং প্রতিটি সিদ্ধান্ত কেবল তাঁদের সম্মতিতে নেওয়া হচ্ছে।” বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

২৫ আগস্ট COVID-19 এর জন্য গগৈয়ের শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে। এরপরের দিন GMCH-এ ভর্তি করা হয় তাঁকে। কিন্তু এরপর করোনা মুক্ত হওয়ায় তাঁকে দুমাস পর ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু করোনার প্রভাব সম্পূর্ণ কাটিয়ে উঠতে পারেননি তিনি। অসুস্থ হওয়ায় ফের তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে ক্রমশ শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে তাঁর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × 4 =