বেঙ্গালুরু: পেনশন সংক্রান্ত একটি মামলায় এক তাৎপর্যপূর্ণ রায় দিল কর্ণাটক হাইকোর্ট৷ পেনশন কোনও খয়রাত, ভিক্ষে বা অনর্থক পারিশ্রমিক নয়৷ পেনশন প্রতিটি কর্মীর অধিকার৷ সংবিধানের ৩০০-এ ধারায় পেনশনকে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর সম্পদ হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে বলে জানাল এম নাগাপ্রসন্নের সিঙ্গেল বেঞ্চ৷ আদালত জানায়, এটি সংবিধানের ২১ নম্বর ধারায় বাঁচার অধিকারের অন্তর্গত৷ ফলে কোনও কর্মীকেই পেনশনের অধিকার থেক বঞ্চিত করা যায় না৷
আরও পড়ুন- প্রয়াত বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল
কর্ণাটক সরকারের অধীনস্থ কর্ণাটক পাওয়ার ট্রান্সমিশন কর্পোরেশন লিমিটেডের (কেপিটিসিএল) কর্মী মিথাইয়া বহু বছর আগে অবসর নেন৷ কিন্তু এখনও পেনশন চালু হয়নি তাঁর৷ ১৯৯৯ সালের ২৪ মে থেকে শুরু হয় তাঁর আইনি লড়াই৷ দুর্ব্যবহার ও চুরির অভিযোগে মিথাইয়াকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছিল কেপিটিসিএল৷ কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কোনও তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়নি৷ তবে চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ায় পেনশন সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হন তিনি৷ পেনশন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধার দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হন মিথাইয়া৷ অন্যদিকে, তাঁর বিরুদ্ধে পেনশন আইনে মামলা করে কেপিটিসিএল৷ যদিও ২০১৫ সালের ২ মে মিথাইয়ার উপর থেকে আইনি ব্যবস্থা প্রত্যাহার করে নেওয়ার হয়৷ এর পরেই পেনশন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা চালু করার দাবি জানান তিনি৷ কিন্তু তাঁর পেনশন চালু করতে নারাজ কেপিটিসিএল৷ তাঁদের বক্তব্য, মিথাইয়া যে সকল জিনিস চুরি করেছেন সেগুলি এখনও ফেরত পাওয়া যায়নি৷ ফলে তাঁর পেনশনও চালু করা সম্ভব নয়৷ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার পরই এই রায় দেয় কর্ণাটক হাইকোর্ট৷
আরও পড়ুন- আরও ৪৩ টি মোবাইল অ্যাপসের উপর নিষেধাজ্ঞা কেন্দ্রীয় সরকারের!
আদালত জানায়, বিনা প্রমাণে মিথাইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে৷ নজিরবিহীন ভাবে তাঁর পেনশন দীর্ঘ দিন ধরে আটকে রাখা হয়েছে৷ অবিলম্বে কেপিটিসিএল-কে মিথাইয়ার পেনশন চালু করার নির্দেশও দেয় কর্ণাটক হাইকোর্ট৷ ১৯৯৯ সাল থেকেই তাঁকে এই সুবিধা দিতে হবে বলে জানান বিচারপতি৷ এমনকী দীর্ঘ দিন মামলার খরচ বাবদ মিথাইয়াকে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশও দেন তিনি৷