যেখানে যার সঙ্গে খুশি থাকার অধিকার রয়েছে প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের, ঐতিহাসিক রায় হাইকোর্টের

যেখানে যার সঙ্গে খুশি থাকার অধিকার রয়েছে প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের, ঐতিহাসিক রায় হাইকোর্টের

নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে ‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে চলা বিতর্কের মাঝে উল্লেখযোগ্য রায় দিল দিল্লি হাইকোর্ট৷ এদিন একটি রায় ঘোষণার সময় আদালত জানায়, ‘‘নিজের ইচ্ছায় পছন্দের জীবন সঙ্গী বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলাদের৷ যেখানে খুশি, যাঁর সঙ্গে খুশি থাকার স্বাধীনতা রয়েছে তাঁদের৷’’ এর আগে বিয়ের জন্য ধর্মান্তরকরণ নিয়ে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট৷ জাত-পাত ধর্ম নির্বিশেষে পছন্দের সঙ্গীর সঙ্গে জীবন কাটানো যে কোনও মানুষের মৌলিক অধিকার বলে জানিয়েছিল আদালত৷ 

আরও পড়ুন- আজ অভিশপ্ত ২৬/১১! আকাশপথে হামলার ছক জঙ্গিদের, জারি সতর্কতা!

সম্প্রতি প্রবীণ নামে এক ব্যক্তি বাবলু নামে একজনের বিরুদ্ধে তাঁর বোনকে অপহরণ করার অভিযোগ আনেন৷ প্রবীণ জানান, গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান তাঁর বোন সুলেখা৷ অভিযোগ, তাঁর বোনের এই নিখোঁজ হওয়ার পিছনে রয়েছে বাবলুর হাত৷ বাবলুকে কাঠগড়ায় তোলার পাশাপাশি সুলেখাকে আদালতে পেশ করার আর্জিও জানানো হয়৷ ভিডিয়ো কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে অদালতে হাজিরা দেন সুলেখা৷ এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সুলেখা বিচারপতি বিপিন সিংঘি এবং বিচারপতি রজনীশ ভাটনগরের বেঞ্চকে স্পষ্ট জানান, তিনি নিজের ইচ্ছেতেই বাবলুর হাত ধরে ঘর ছেড়েছেন৷ স্বেচ্ছায় বাবলুকে বিয়ে করেছেন৷ 

আরও পড়ুন- মন্দির খুলতেই উপচে পড়ল অনুদান, সাঁই বাবার চরণে দান ৩ কোটি টাকা

এদিন রায় ঘোষণার সময় দিল্লি হাইকোর্টের দুই বিচারপতি জানান, ২০০০ সালে জন্ম হয়েছে সুলেখার৷ ফলে সুলেখা একজন প্রাপ্ত বয়স্ক৷ নিজের জীবন সঙ্গী বেছে নেওয়ার অধিকার সুলেখার আছে৷ তিনি বাবলুর সঙ্গে থাকতে চাইলে কেউ বাধা দিতে পারবে না৷ সেই সঙ্গে তাঁর নিরাপত্তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা করার নির্দেশও দেয় আদালত৷ যাতে কোনও ভাবেই এই নব দম্পতিকে পারিবারিক হেনস্থার মুখে পড়তে না হয়৷ প্রবীণ এবং তাঁর পরিবারের বাকি সদস্যরা যাতে কোনও ভাবেই সুলেখা এবং বাবলুর উপর চাপ সৃষ্টি বা হেনস্থা না করে, তাঁদের সে কথা বোঝাবে পুলিশ৷ সুলেখা এবং বাবলুকে নিকটবর্তী থানার বিট কনস্টেবলের ফোন নম্বর দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে৷ যাতে তাঁরা কোনও অসুবিধায় পড়লেই থানায় যোগাযোগ করতে পারেন৷    

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × four =