নয়াদিল্লি: আর কয়েক মাস পরেই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। বাংলা ছাড়াও অসম, তামিলনাড়ু সহ একাধিক রাজ্যে আগামী দিনে নির্বাচন রয়েছে। তাই ভোটের মুখে এইসব রাজ্যের তফসিলি জাতি-উপজাতিদের মাসিক ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যাদের মাসিক আয় ৫০০০ টাকার কম, তাদের অর্থাৎ তাদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে নরেন্দ্র মোদী সরকার। এই আর্থিক সাহায্যের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে নতুন বছরের শুরু থেকেই। ডিজিটাল ব্যাঙ্কিয়ের মাধ্যমে দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী তপশিলি জাতি-উপজাতিদের আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন পাওয়া গেলেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। নীতি আয়োগের তরফে এই পরিকল্পনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে শুধু তপশিলি জাতি এবং উপজাতি শ্রেণীর মানুষদের আর্থিক সাহায্য নয়, তাদের প্রত্যেকের শারীরিক অবস্থানের খতিয়ান সংগ্রহ করা হবে এই প্রকল্পে। আপাতত যেসব রাজ্যে আগামী দিনে নির্বাচন রয়েছে, সেইসব রাজ্য থেকে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। পরবর্তীকালে সারা দেশজুড়ে তপশিলি এবং উপজাতি শ্রেণীর মানুষদের সাহায্যার্থে পদক্ষেপ নেবে কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারি সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ১ লক্ষ কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করার চিন্তা ভাবনা করা হয়েছে।
তবে এই প্রকল্পের প্রেক্ষিতে যাদের সাহায্য করা হবে তাদের জন্য কয়েকটি শর্ত আরোপ করা হবে বলেও সূত্রের খবর। মূলত যে সমস্ত পরিবারের প্রতিনিধিরা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে এবং বিভিন্ন সরকারি কর্মসূচিতে উৎসাহ দেবেন, তাদেরকেই এই প্রকল্পে সাহায্য করা হবে। তবে নির্বাচন মুখী রাজ্যগুলিতে প্রথমে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা শুরু করেছে বিরোধীরা। যদিও কেন্দ্রে তরফে জানানো হয়েছে, এই প্রকল্পের সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই’। মূলত পিছিয়ে পড়া শ্রেণীকে সাহায্য করায় এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। এর সব চেয়ে বড় কারণ, করোনাভাইরাস মহামারী জেরে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এই শ্রেণীর মানুষরা। তাদের কাজ চলে গেছে, আর্থিক অনটনের সম্মুখীন হতে হয়েছে তাদের। দীর্ঘ কয়েক সপ্তাহ লকডাউন থাকার কারণে তাদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সঙ্গীন হয়ে গেছে। এই কারণে আপাতত তপশিলি জাতি এবং উপজাতি শ্রেণীর প্রতিনিধিদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ব্রাজিলের ‘বোলসা ফ্যামিলিয়া প্রকল্পের আদলেই কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্প গৃহীত হবে।