কলকাতা: নদীয়ায় তৃণমূল বিধায়ক খুন হওয়ার ঘটনায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন শাসক দলের বিধায়করা৷ ভোটের মুখে খুন হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে নিজেদের নিরাপত্তা আরও খানিকটা বাড়িয়ে নেওয়ার জন্য জোর সওয়াল এবার তৃণমূলের অন্দরে৷ স্পর্শকাতর এলাকায় বিধায়কদের নিরাপত্তা ইতিমধ্যেই বাড়িয়ে দেওয়ার হয়েছে৷ দাবি উঠছে, বিধায়ক নিরাপত্তায় এই মুহূর্তে দু’জন রক্ষি নির্ধারিত হয়েছে৷ সেই সংখ্যা আরও বাড়ানো ও রক্ষীদের বদলি বা ছুটির সময় বিধায়কদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত থাকে তারও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠতে শুরু করেছে৷
নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জে তৃণমূল বিধায়ককে গুলি করে খুনের ঘটনার পর রাজ্যের অন্যান্য বিধায়ক এবং বেশ কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নিরাপত্তা জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই মতো পূর্ব বর্ধমান জেলায় শাসকদলের বিধায়কদের নিরাপত্তারক্ষী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্য পুলিশ থেকে এ বিষয়ে জেলার পুলিশ সুপারের কাছেও নির্দেশ এসেছে বলে সূত্রের খবর। তার পরেই ডিআইবিকে দিয়ে কোন বিধায়কের কতটা পরিমাণ নিরাপত্তা দরকার তার একটি প্রাথমিক রিপোর্ট তৈরি করান জেলার পুলিশ সুপার। জানা গিয়েছে এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবারের মধ্যে চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়ার জন্য জেলা গোয়েন্দা দপ্তর বা ডিআইবিকে বলা হয়েছে।
গোয়েন্দা দপ্তর সূত্রে খবর, এলাকা ভিত্তিক খোঁজ খবর নেওয়ার পাশাপাশি যেসব জায়গায় বিরোধীরা শক্তিশালী ও যেখানে দলের অভ্যন্তরে কোন্দল রয়েছে সেই সব জায়গার বিষয়ে বিশদে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে অতীত রেকর্ড খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে। পুলিশ ও গোয়েন্দা দপ্তর সূত্রের খবর, বিধায়কদের নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি বেশ কিছু পঞ্চায়েতের প্রধান ও জেলা পরিষদ সদস্যকেও নিরাপত্তারক্ষী দেওয়ার ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা চলছে বলে সূত্রের খবর।
রাজ্যের প্রতিটি ব্লকেই তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীসংঘর্ষ রয়েছে। অনেক জায়গায় তা প্রাণঘাতী চেহারাও নিয়েছে। চলতি মাসেই তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীসংঘর্ষে পাঁচ জন খুন হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে মালদহ, বীরভূম, নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনাসহ রাজ্যের কয়েকটি জেলায় বিধায়কদের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য পুলিশ। নবান্নে রাজ্য পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রতিটি জেলায় এই বৈঠক করার নির্দেশ জেলা পুলিশ সুপারদের দেওয়া হয়েছে।