‘নতুন’ করোনা আতঙ্কেই দিল্লিতে সংক্রামিত লন্ডনের ৫! আতঙ্ক কলকাতাতেও

ইতিমধ্যেই দিল্লিতে সংক্রমিত হয়েছে লন্ডন থেকে আগত ৫ যাত্রী, কলকাতাতেও লন্ডন ফেরত ২ জন উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি। 

63d67c0d1c1f3753d1b6104dd49494f0

 

নয়াদিল্লি: নতুন প্রজাতির করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে এখন বিশ্বজুড়ে হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে। ব্রিটেন এবং ইতালি শহর ইওরোপের একাধিক দেশে এই নতুন ধরনের সংক্রমনের ঘটনা ঘটেছে। যদিও ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছিল দেশবাসীর উদ্বেগের কারণ নেই; সরকার সতর্ক। এই পরিপ্রেক্ষিতে ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা ভারতে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে তার আগেই নতুন করোনাভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল গোটা দেশ জুড়ে এমনকি বাদ গেল না শহর কলকাতাও। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে সংক্রমিত হয়েছে লন্ডন থেকে আগত ৫ যাত্রী, কলকাতাতেও লন্ডন ফেরত ২ জন উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি। 

জানা গিয়েছে, এয়ার ইন্ডিয়া বিমান করে গতকাল রাতে নয়াদিল্লি এসে করোনা ভাইরাস সংক্রামিত হয়েছেন ৫ জন যাত্রী। তারা সকলে লন্ডন থেকে ফিরেছেন। যে বিমানে তারা এসেছেন সেই বিমানে ২৬৬ জন যাত্রী ছিল! ইতিমধ্যেই যে সকল যাত্রী এই ৫ জন ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন তাদের খোঁজ শুরু করেছে প্রশাসন। এদিকে জানা গেছে গত রবিবার সকালে লন্ডন থেকে কলকাতায় করোনাভাইরাস উপসর্গ নিয়ে এসেছেন দুই যুবক। তারা ইতিমধ্যেই শহর কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি। এই দুজন যাত্রীর কাছাকাছি সিটে বসে যারা সেই বিমানে কলকাতায় এসেছেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রাজ্যকে জানানো হয়েছে, যে দুই যুবক ভাইরাস উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি তাদের দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে যেন রেখে দেওয়া হয়। পরবর্তী ক্ষেত্রে সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজে আসবে। একইসঙ্গে জানা গিয়েছে, ভাইরাস উপসর্গ নিয়ে লন্ডন থেকে আসা এই দুই যুবকের সংস্পর্শে এসেছেন কমপক্ষে ৩০ জনের বেশি। তাই ফের একবার নতুন করে ‘নতুন’ করোনাভাইরাস আতঙ্ক ছড়ানো শহর তথা রাজ্য এবং দেশে।

ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে এই নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাস বর্তমান করোনাভাইরাসের থেকে ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক। একই সঙ্গে জিনের গঠন খুব দ্রুত বদলে ফেলা শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি লক্ষ্য করা মুশকিল। সব মিলিয়ে ভ্যাকসিন আদতে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে কোন কাজ করতে পারবে কিনা তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সন্দেহ প্রকাশ করে ফেলেছে বৈজ্ঞানিকদের একাংশ। তবে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ভয় পাওয়ার কোনো রকম কারণ নেই। কেন্দ্রীয় সরকার যথেষ্ট সতর্ক রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *