কলকাতা: গ্রেফতারি এড়াতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ বিমল গুরুং সহ মোর্চার ৭ নেতা। ভোটে লড়াইয়ের আবেদন জানিয়ে শীর্ষ আদালতে আবেদন গুরুং শিবিরের৷ রাজ্যের মত জানার পরই রায় ঘোষণা সুপ্রিম কোর্টে৷ পরবর্তী শুনানি ২৮ মার্চ৷
শীর্ষ আদালত সূত্রে খবর, পাহাড়ে ভোটে লড়তে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন বিমল গুরুং শিবির৷ মামলা ঠুকে গুরুং শিবিরের দাবি, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার টিকিটে তাঁরা এবারের লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান৷ কিন্তু, গুচ্ছ মামলা থাকার কারণে প্রকাশ্যে আসতে পারছেন না তাঁরা৷ নির্বাচনে অংশ নিতে গ্রেফতারি এড়ানোর দাবি জানিয়ে মামলাও দায়ের করা হয়৷ রাজ্যের তরফে মোর্চা নেতাদের এই আবেদনে তীব্র বিরোধিতাও করা হয়৷ দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর আদালতের তরফে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়৷
তবে, গুরুং শিবিরের তরফে ভোটে লড়াই আর্জি জানানো হলেও ভোটার তালিকা থেকে ইতিমধ্যেই নাম কাটা পড়েছে বিমল গুরুং এবং রোশন গিরির। ফৌজদারি কার্যবিধি মেনে মোর্চার দুই নেতাকে ‘প্রোক্লেমড অফেন্ডার’ ঘোষণা করেছে আদালত। তার পরেই নাম কাটা গিয়েছে। বলে খবর৷ এর ফলে গুরুং বা রোশন এখন পাহাড়ে ফিরলেও তাঁদের ভোটে লড়ার সম্ভাবনা কম৷ যদি নির্বাচন কমিশন বিশেষ নির্দেশ দিয়ে তাঁদের নাম ভোটার তালিকায় তুলতে বলে, তবেই তাঁদের পক্ষে ভোটে লড়া সম্ভব হবে৷
এর আগে বিমল গুরুং ও রোশন গিরির বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। মোর্চার দাবি, নির্বাচন কমিশনের রেকর্ড অনুযায়ী এখনও মোর্চার সভাপতি আছেন বিমল গুরুং ও সম্পাদক আছেন রোশন গিরি। নির্বাচন কমিশনের কাছে বারবার উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে তাদের নাম সরানোর কথা বললেও পদক্ষেপ করছে না কমিশন।
২০০৭ সালে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাকে রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃতি দেয় কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও তা করা হয়নি৷ তা সত্ত্বেও বিমল গুরুং ও রোশন গিরি নির্বাচন কমিশনের কাছে নিজেদের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি ও সম্পাদক হিসাবেই উপস্থাপিত করেছিলেন৷