নয়াদিল্লি: লাদাখ সীমান্তে ভারত এবং চিনের সেনাবাহিনীর সংঘর্ষের কয়েক মাস কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনো দুই দেশের মধ্যে উত্তাপও কমেনি এতটুকুও। একাধিকবার বৈঠক হলেও সেই ভাবে ইতিবাচক ফল বেরোয়নি। এই পরিস্থিতির মধ্যে বিস্ফোরক তথ্য দিলেন ভারতীয় বায়ুসেনার প্রধান আরকেএস ভাদুরিয়া। তিনি জানালেন, লাদাখ সীমান্তে চিনের বায়ুসেনা পাহারা দিচ্ছে, তাদের সঙ্গে রয়েছে রিডার এবং মিসাইল।
সার্বিকভাবে এখন যা পরিস্থিতি তাতে মনে হচ্ছে সীমান্তে আরো একবার উত্তেজনা সৃষ্টি করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বেজিং সরকার। এই কারণেই সীমান্তের সেনাবাহিনী সহ বায়ুসেনার উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান মনে করছেন, এইভাবে সীমান্তের উত্তেজনা জিইয়ে রেখে নিজেদের কার্যসিদ্ধি করতে উদ্যোগী হচ্ছে চিন। যদিও ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং বায়ুসেনা যে পুরোপুরি প্রস্তুত তা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ভাদুরিয়া। তাঁর কথায়, চিন যা যা পদক্ষেপ নিচ্ছে তার ওপর পুরোপুরি নজরদারি চালানো হচ্ছে এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী অবশ্যই পদক্ষেপ নেবে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে ভারত এবং চিনের প্রসঙ্গ টেনে এই কথা জানান ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান। প্রসঙ্গত, লাদাখ সীমান্তের সংঘর্ষের পর বেজিং সরকারের বিরুদ্ধে নানা বিধ পদক্ষেপ নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। রাতারাতি ভারত থেকে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয় একাধিক চিনা অ্যাপ। তার কারণে পড়শী দেশের অর্থনৈতিক বিরাট ক্ষতি হয়েছিল বলে বিশেষজ্ঞদের একাংশের। যদিও সীমান্ত নিয়ে যা বৈঠক হয়েছে তাতে ইতিবাচক কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারিনি নয়াদিল্লি এবং বেজিং। এমনকি রাশিয়া সফরে গিয়ে ও ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাতেও সুফল হয়নি। এদিকে বিগত কিছুদিন ধরেই ছোট ছোট পদক্ষেপ নিয়ে সীমান্তে উত্তেজনা জিইয়ে রাখতে চাইছে চিন। তবে ভারত যেসব পরিস্থিতি সামাল দিতে তৈরি তা একদিকে যেমন স্পষ্ট করে দিয়েছেন বায়ুসেনা প্রধান, একইরকম ভাবে এই কথা আগেই জানিয়েছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর সিডিএস বিপিন রাওয়াত। তিনি এমনকি এও বলেছিলেন, ভারত এবং চিনের সমস্যা সমাধান করতে পারে একমাত্র সেনাবাহিনী।