লখনউ: উত্তরপ্রদেশের হাথরসের দলিত তরুণী ধর্ষণের ঘটনা এখনো শিহরিত করে গোটা দেশকে। সেই ঘটনার পরবর্তী সময়ে একাধিক বিষয় নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। যোগী রাজ্যের শাসন ব্যবস্থা এবং পুলিশি শাসনের ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এবার নতুন বছরের শুরুতেই সেই হাথরসের জেলাশাসক প্রবীন কুমার লক্ষকারকে বদলি করে দিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। তবে শুধু তাকে নয়, মোট ১৬ জন আইএএস অফিসারকে বদলি করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, বিতর্কিত ওই জেলাশাসককে মির্জাপুরে বদলি করা হয়েছে যোগী প্রশাসনের তরফে। তার জায়গায় নতুন জেলাশাসক হয়ে আসছেন উত্তরপ্রদেশ জল নিগমের অতিরিক্ত এমডি রমেশ রঞ্জন। দলিত তরুণী ধর্ষণের ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। যেখানে দেখা যায় নির্যাতিতার পরিবার কে রীতিমত হুমকি দিচ্ছেন জেলাশাসক প্রবীন কুমার। স্বাভাবিকভাবে এরপরে অভিযোগ উঠতে থাকে যে তিনি আসল নির্যাতনকারীদের আড়াল করার জন্য এইভাবে নির্যাতিতার পরিবারকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। অবশেষে সেই বিতর্কিত জেলাশাসককে বদলি করে দিল যোগী প্রশাসন। তিনি ছাড়াও বদলি করা হয়েছে গোন্দার জেলাশাসক নীতিন বনশলকে।নয়ডার অতিরিক্ত সিইও শ্রুতিকে বলরামপুরের জেলাশাসক পদে বদলি করা হয়েছে।বদলি করা হয়েছে ফতেহপুরের জেলাশাসক সঞ্জীব সিংকেও।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসের উত্তরপ্রদেশের হাথরসে ঘটে যায় নক্কারজনক ঘটনা। দলিত তরুণী ধর্ষণের অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠে আসে চারজন উচ্চবর্ণের ব্যক্তির। পরবর্তী ক্ষেত্রে রাজ্যের পুলিশ জোর করে মাঝ রাতেই খোলা মাঠে সেই তরুণীর দেহ দাহ করে দেয়। যে ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয় গোটা দেশজুড়ে, ক্ষোভ উগ্রে পড়ে যোগী প্রশাসনের উপর। পরে অবশ্য ওই জেলাশাসক আদালতে সাফাই দিয়েছিলেন যে অতিরিক্ত অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তিনি তাড়াতাড়ি দেহ সৎকারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিতর্কিত এই জেলাশাসকের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না করার জন্য যোগী সরকারকেও আদালতে ভর্ত্সনার মুখে পড়তে হয়েছিল। বর্তমানে সিবিআই এই মামলার তদন্ত করছে।