কলকাতা: ফের বিপাকে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল৷ বিরোধীদের তোলা অভিযোগের ভিত্তিতে অনুব্রতর ‘নকুলদানা’ ও ‘পাচন’ তত্ত্বের ব্যাখ্যা চাইল নির্বাচন কমিশন৷ জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে এই বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর৷ গত ১৪ মার্চ অনুব্রতর ‘নকুলদানা’ ও ‘পাচন’ তত্ত্বের সিডি ও কেন এই মন্তব্য তার জবাব চেয়ে পাঠানো হয়েছে বলে খবর৷
জানা গিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলের মন্তব্য নিয়ে বীরভূমের জেলাশাসক মৌমিতা গোধারা বসুর কাছে রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ওই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কমিশন৷
সম্প্রতি, বাংলার একটি সংবাদ মাধ্যমে অনুব্রত সরাসরি কমিশনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনও নকুলদানা খেয়ে থাকে৷’’ কীভাবে? ‘‘কীভাবে, তা আমি পরে বুঝিয়ে দেব৷’’ লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার পর অনুব্রত মণ্ডল কখনও পাঁচন ও কখনও নকুলদানা সহ বিরোধীদের ‘চোখ’ বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন৷ চড়াম চড়াম ঢাক বাজার তত্ত্ব থেকে গুড় বাতাসা-সহ পুলিশের গাড়িতে বোম মারার নিদান দিয়ে আদালত পর্যন্ত যেতে হয়, অনুব্রতকে৷ ভোটের দিনে তাঁকে গৃহবন্দি করে রাখারও নির্দেশ দেয় কমিশন৷ কিন্তু, এবার কী পদক্ষেপ নেবে কমিশন? সেদিকেই তাকিয়ে পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷
রবিবলার শতাব্দী রায়কে পাশে বসিয়ে তৃণমূলের মঞ্চে বসে সরকারি আইনজীবীকে কড়া নির্দেশ দিলেন দিলেন অনুব্রত মণ্ডল৷ রবিবার তৃণমূলের সভা মঞ্চে বসে মাইক হাতে সরকারি আইনজীবীকে অনুব্রতর নির্দেশ, স্থানীয় ব্লক তৃণমূল সভাপতি দীপক ঘোষ খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার খয়রাশোলের দাপুটে তৃণমূল নেতা উজ্জ্বল হক কাদেরিকে জামিন দিতে হবে৷ জামানের জন্য আইনজীবীকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেন অনুব্রত৷
বলেন, ‘‘উজ্জ্বল কাদেরির কেসটা দেখুন৷ ওর জামিন করাতে হবে৷ কী শুনলেন৷ উজ্জ্বলের জামিন হবে তো?’’ মঞ্চ থেকে অনুব্রত মণ্ডলের এহেন নির্দেশ শুনে বিড়ম্বনায় পড়েন সরকারি আইনজীবী৷ তবে, একজন সরকারি আইনজীবী হয়ে তিনি কেন তৃণমূলের সভায় হাজির হলেন? তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷