সিঙ্গারায় ‘না’! তাদের ‘মন’কে দুঃখ না দেওয়ার আর্জি রেস্টুরেন্টের, নেটপাড়ায় রসিকতা

সিঙ্গারায় ‘না’! তাদের ‘মন’কে দুঃখ না দেওয়ার আর্জি রেস্টুরেন্টের, নেটপাড়ায় রসিকতা

 
 

চেন্নাই: সিঙ্গারার মতো সহজলভ্য, সুস্বাদু মুখরোচক খাবার খুব কমই আছে। বিশেষত খাদ্যরসিক বাঙালির সঙ্গে সিঙ্গারার সম্পর্কটা যেন একটু বেশিই পুরোনো। সান্ধ্যকালীন চায়ের আড্ডায় একাই বাজিমাত করে সিঙ্গারা, সঙ্গে দোসর হিসেবে কচুরি থাকলে তো আর কথাই নেই। মাছ না খাওয়া বাঙালি হয়তো খুঁজলে পাওয়া যাবে, কিন্তু কচুরি, সিঙ্গারায় ‘না’ বলা বাঙালি মেলা কঠিন।

তবে বাঙালি নয়, এহেন সিঙ্গারা আর কচুরি নিয়ে এবার এক মজাদার ঘটনার সাক্ষী থাকল দক্ষিণ ভারত। সিঙ্গারা আর কচুরি যাঁরা খেতে চান না, তাঁদের উদ্দেশ্যে রসিক এক বার্তা দিল চেন্নাইয়ের এক রেস্টুরেন্ট। রেস্টুরেন্টের বিলের নীচে লেখা হয়েছে, ‘‘কখনও সিঙ্গারা বা কচুরিকে না বলে দুঃখ দেবেন না। না, কারণ তাদের ভিতরেও মন আছে৷’’ চেন্নাইয়ের রেস্টুরেন্টের ওই মজাদার বিলটির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হলে নেটিজেনদের মধ্যে তা নিয়ে হইচই পড়ে যায়।

ঠিক কী ছিল ওই ভাইরাল পোস্টে? জানা গেছে , চেন্নাইয়ের ওল্ড মহাবলীপুরম রোডের একটি রেস্টুরেন্টের নাম ‘শ্রী চাটস্ মিঠাই অ্যান্ড নামকিন’ (Shree Chaats Mithai and Namkin)। এদিন ওই রেস্টুরেন্টেরই একটি বিলের ছবি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়া সাইট রেড্ডিটে (Reddit)। বিলটিতে দেখা গেছে, এক খরিদ্দার ওই রেস্টুরেন্ট থেকে ১৫০ টাকায় দুটো সামোসা চাট, ৯০ টাকায় একটি মিক্সড চাট , ১০৫ টাকায় এক প্লেট চিজ পাওভাজি আর ৭০ টাকায় দই ভেলপুরী কিনেছেন।

ভাইরাল ছবি

খরচের এই তালিকার নীচেই রয়েছে সিঙ্গারা আর কচুরিকে দুঃখ না দেওয়ার সেই অসাধারণ উপদেশ। সিঙ্গারা আর কচুরির ভিতরে যে পুর ভরা থাকে, এক্ষেত্রে সেটাকেই তাদের ‘মন’ (Fillings) হিসেবে দেখিয়েছে চেন্নাইয়ের ওই রেস্টুরেন্ট। তাদের কৌতুকবোধের প্রশংসায় মুখ খুলেছেন নেট নাগরিকরা। তবে কেউ কেউ আবার সিঙ্গারা কচুরির দাম দেখে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি। বলেছেন, “এই সিঙ্গারা আমার পকেটে দুঃখ দিল।” কেউ আবার বলেছেন, “বড্ড দামী মন”! সব মিলিয়ে সিঙ্গারা কচুরি আর তাদের ‘মন’ নিয়ে এদিন সরস চর্চায় মেতে উঠেছিল সোশ্যাল মিডিয়ার রসিক মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 3 =