নয়াদিল্লি: কনকনে ঠান্ডার মধ্যে ঝেঁপে বৃষ্টি দেখল রাজধানী। বুধবার সকালে দিল্লির বেশ কয়েকটি জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে কোনও কোনও জায়গায় শিলও পড়েছে। মৌসম ভবনের তরফে খবর, যে দিল্লি-এনসিআর-তে আরও ২ ঘণ্টার মতো সময় ধরে ভারী বৃষ্টি হবে। পাশাপাশি ঠান্ডা হাওয়াও অনুভূত হতে পারে।
আবহাওয়া দপ্তরের খবরে আরও বলা হয়েছে, বুধবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় শিলাবৃষ্টি দেখা গিয়েছে। গত তিন দিন ধরে দিল্লি এবং এনসিআরের বিভিন্ন অংশে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। আবহবিদরা জানিয়েছেন যে এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝা গত কয়েকমাসে এই শহরে এসেছে। আইএমডি রেকর্ডিংয়ে সোমবার বিকেল চারটা থেকে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত সাফদারজং অবজারভেটরিতে ৪.৭ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া পলম ও লোধি রোড অবজারভেটরিতে যথাক্রমে ৪ মিমি এবং ৪.৮ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আয়া নগর মানমন্দিরে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত ৮ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার শহরজুড়েও হালকা বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সাফদারজং অবজারভেটরিয়ায় বৃষ্টি হয়েছে ১.২ মিমি। পলম অবজারভেটরিতে ৫.৩ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, ১০ দিন ধরে ঠান্ডায় জবুথবু উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম ভারত। এখানে বিভিন্ন রাজ্যে প্রবল শৈত্যপ্রবাহ চলছে। দিল্লি, পঞ্জাব, রাজস্থান, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর এবং উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু এলাকায় প্রবল ঠান্ডা পড়েছে। মধ্য এবং পূর্ব ভারতের মধ্যে মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশাতেও একই ছবি। বেশির ভাগ জায়গায় তাপমাত্রা নেমেছে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও নীচে। শৈত্যপ্রবাহের দাপটে উত্তর ভারতের বিভিন্ন এলাকার অবস্থা শোচনীয়। দু’দিন ধরেই জম্মু-কাশ্মীর এবং হিমাচল প্রদেশে প্রবল তুষারপাত চলছে। তুষারপাত উপভোগ করতে ভিড় জমিয়েছেন পর্যটকরা। তবে প্রবল তুষারপাতের কারণে হিমাচলের রোটাংয়ে প্রায় ৩০০ পর্যটক আটকে পড়েছেন বলে খবর। তুষারপাতের ফলে সোমবার বন্ধ ছিল শ্রীনগর বিমানবন্দরে।