কলকাতা: ইসরোর শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানীদের মধ্যে একজন হচ্ছেন তপন মিশ্র। তাঁকেই খুনের চেষ্টা করা হয়েছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলছেন বিজ্ঞানী। তিনি জানিয়েছেন, একবার নয়, বারংবার তাঁকে খুন করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কখনো খাবারে বিষ মিশিয়ে, কখনো বাড়িতে বিষধর সাপ ছেড়ে তাঁকে মারার পরিকল্পনা করা হচ্ছে! ইসরোর বাঙালি বিজ্ঞানীর এই রকম অভিযোগ সামনে আসার পরেই দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে। বিরাট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দেশের বৈজ্ঞানিক মহলেও। এই ঘটনার বিস্তৃত বিবরণ দেওয়ার জন্য ফেসবুকে পোস্ট করেছেন বিজ্ঞানী তপন মিশ্র।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বাঙালি বিজ্ঞানী চাঞ্চল্যকর দাবি করে জানিয়েছেন, তাঁর আবিষ্কারের জন্য বিদেশী শক্তির স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয়েছে, সেই কারণেই বারংবার তাঁকে খুন করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বিজ্ঞানী জানাচ্ছেন, ১৯৭১ সালে বিক্রম সারাভাইয়ের রহস্য মৃত্যুর কথা শুনতেন তিনি। ১৯৯৯ সালে বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারের অধিকর্তা এস শ্রীনিবাসন যেভাবে মারা যান সেটাও রহস্যজনক ছিল। এমনকি ১৯৯৪ সালে বিজ্ঞানী নাম্বিনারায়নের মৃত্যুর ঘটনা সম্পর্কেও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে, তাঁর জীবনে এমন ঘটনা ঘটবে সেটা তিনি কখনোই কল্পনা করতে পারেননি। তিনি জানান, ২০১৭ সালে তার খাবারে বিষ মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তখন তিনি ইসরোর হেডকোয়ার্টারের ইন্টারভিউ বোর্ডের মেম্বার ছিলেন।
সেখানেই নিরাপত্তারক্ষীদের টপকে তার খাবারে বিষ মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেটাই জানিয়েছেন তিনি। বিশ্বের মাত্রা কম থাকায় সেই যাত্রায় কোনোভাবে বেঁচে যান তপন মিশ্র, কিন্তু তার ত্বক এবং স্নায়ুর রোগ ধরা পড়ে পরবর্তী ক্ষেত্রে। বিজ্ঞানী আরো জানাচ্ছেন, সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর তার বাড়িতে বিষাক্ত সাপ ছেড়ে দিয়ে তাঁকে খুনের চেষ্টা করা হয়। কেউটে থেকে শুরু করে কোবরা, সপ্তাহে অন্তত তিন চারবার তার বাড়িতে দেখতে পাওয়া যেত বলে জানিয়েছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, তার বাড়িতে কলা গাছের পেছনে একটা গর্ত করা ছিল সাপ ঢোকানোর জন্য। সেই গর্ত বন্ধ করে দেওয়ার পর আর সাপ আসেনি।
তবে কেন হঠাৎ তাঁকে খুনের চেষ্টা করা হচ্ছে, এ ব্যাপারে বিজ্ঞানী তপন মিশ্র জানান, তাঁর আবিষ্কৃত রিস্যাট গবেষণায় বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের ছবি রাতে অস্পষ্টভাবে দেখতে সক্ষম ভারতীয় সেনাবাহিনী। এই প্রযুক্তি দ্বারা বড় বিপদকে আগেভাগে চিহ্নিত করা সম্ভব। এই প্রযুক্তির আমেরিকা বা রাশিয়া থেকে আমদানি করতে ভারতকে কমপক্ষে ১০ গুণ বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয়। সেই কারণেই বিদেশি শক্তি তাঁকে খুন করার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন তিনি। শুধু খুনের চেষ্টা নয়, বোমা মেরে তাঁর গবেষণাগার উড়িয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন তপন মিশ্র। এ ব্যাপারে ভারত সরকারের সাহায্য চেয়েছেন ইসরোর বাঙালি বিজ্ঞানী।