দ্বিতীয় দফায় করোনার টিকা নেবেন প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীরা

দ্বিতীয় দফায় করোনার টিকা নেবেন প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীরা

নয়াদিল্লি: প্রথম দফার করোনা টিকাকরণ শুরু হয়েছে ১৬ জানুয়ারি। প্রথম দফায় ১ কোটি স্বাস্থ্যকর্মী এবং ২ কোটি করোনা যোদ্ধা মিলিয়ে মোট ৩ কোটি মানুষকে করোনার টিকা দেওয়ার কর্মসূচী নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার দ্বিতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা টিকা নেবেন বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও ৫০ বছরের ঊর্দ্ধে বয়স হওয়া সাংসদ, বিধায়কদেরও এই পর্বে টিকাকরণ করা হবে বলে সূত্রের খবর।  

বছরের প্রথম দুদিনেই দুটি টিকার অনুমোদ পাওয়া নিয়ে খুশি দেশবাসী। নতুন বছরে দেশ করোনা মুক্ত হবে বলে আশাবাদী ভারতবাসী। তবে টিকাকরণের পর বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা পাশ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয় তৈরি হয়েছে। যদিও কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিনের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের টিকা সম্পূর্ণ নিরাপদ। অন্যান্য শারীরিক সমস্যা থাকায় তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি টিকা উৎপাদনকারী সংস্থার। ফলে টিকা নিতে নারদ অনেকেই। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, দ্বিতীয় দফায় পঞ্চাশের ঊর্দ্ধে বয়স অর্থাৎ প্রৌঢ়দের টিকা দেওয়া হবে। পাশাপাশি কোমোরবিটিজ থাকা ব্যক্তিদেরও টিকা দেওয়া হবে এই পর্বে। সব মিলিয়ে ২৭০ মিলিয়ন মানুষকে এই পর্বে টিকাকরণের আওতায় আনা হবে বলে জানা গিয়েছে। টিকাকরণ কর্মসূচী শুরু হওয়ার আগে, তার কার্য পদ্ধতি এবং বিভিন্ন প্রস্তুতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি মুখ্যমন্ত্রীদের আশ্বাস দেন, তাঁদের ভয়ের কোনও কারণ নেই, কারণ দ্বিতীয় দফায় তাঁদের টিকা দেওয়া হবে। হরিয়ানা, বিহার তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীরা ইতিমধ্যেই কেন্দ্রকে আবেদন করেছেন, যাতে বিধায়ক, সাংসদদের করোনার প্রথম সারির যোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে টিকা দেওয়া যায়। তবে জনপ্রতিনিধিদের প্রথমেই টিকা নেওয়ার লাইনে ঝাঁপিয়ে পড়ে টিকা নিতে বারণ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। নীতি আয়োগের সদস্য তথা করোনা নিয়ে সরকার গঠিত কমিটির প্রধান ভিকে পাল জানান, যে সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মী টিকা নেননি, তার অর্থ তাঁরা তাঁদের সামাজিক দায়িত্ব পালন করেননি।  

কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে টিকার সংরক্ষণ, প্রস্তুতি থেকে শুরু করে সমস্ত বিষয় প্রতিদিন পর্যালোচনা করতে বলেছেন, যাতে দেশের সবচেয়ে বেশি মানুষকে টিকাকরণের আওতায় আনা যায়। স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা প্রদানের মাধ্যমে যাতে তাঁদের সঙ্গে নেওয়া যায় এবং সামাজিক বাার্তা দেওয়া যায়, তারজন্য এবং যাতে আতঙ্ক না ছড়ায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে বিভিন্ন রাজ্যের তরফে ইতিমধ্যেই সচেতনতা কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে। প্রচার চালানো হচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যের তরফে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফেও, যাতে আতঙ্ক বা গুজব না ছড়ায় তার জন্য সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *