নয়াদিল্লি: সিদ্ধান্ত থেকে কিছুটা পিছু হটি দেড় বছরের জন্য নয়া কৃষি আইন স্থগিত রাখার প্রস্তাব দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু ইতিমধ্যেই সেই প্রস্থান খারিজ করে দিয়েছে আন্দোলনকারী কৃষক সংগঠন। এবার এই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের বক্তব্য, কৃষকরাই তাহলে সব বুঝে নিক। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, আপাতত কৃষকদের কোর্টেই বল ঠেলে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। সব মিলিয়ে ১১ তম বৈঠকও কোনো রফাসূত্র বের করতে পারল না এই ইস্যুতে। এদিকে পরবর্তী আলোচনা দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। সব মিলিয়ে একরাশ জটিলতার মধ্যে রয়ে গেল দিল্লির কৃষক আন্দোলন।
এতদিন ধরে নিজেদের সিদ্ধান্তে একেবারে অনড় ছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিছুতেই কৃষক আইন বাতিল করার প্রস্তাবে রাজী হয়নি তারা। তবে সুপ্রিম কোর্ট কার্যত কেন্দ্রীয় সরকারকে ধাক্কা দিয়ে স্পষ্ট নির্দেশ দেয় যে, যথাযথ ব্যবস্থা না দিলে তারাই আইন বাতিল করে দিতে পারে। পরবর্তী ক্ষেত্রে কৃষকদের জন্য নতুন কমিটি গঠন করে সুপ্রিম কোর্ট। যদিও সেই কমিটি নিয়েও বিতর্কের শেষ নেই। সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার অবশেষে জানায় তারা দেড় বছরের জন্য কৃষক আইন স্থগিত করতে রাজি। কিন্তু কৃষকদের স্পষ্ট বক্তব্য স্থগিত নয়, সম্পূর্ণরূপে আইন প্রত্যাহার করতে হবে না হলে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার জানিয়েছেন, কৃষকরা নিজেদের ভালো বুঝতে পারছেন না। তাহলে এবার তারা নিজেদের একটা ভালো করে বুঝে নিন। এক্ষেত্রে তিনি আরো দাবি করেছেন, কৃষক সংগঠন যা বলছে সেটা দেশের কৃষকদের কথা নয়।
গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্ট তিন কৃষি আইন কার্যকর করায় স্থগিতাদেশ দেয়। পাশাপাশি কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য একটি কমিটিও গঠন করে শীর্ষ আদালত। যদিও তারা কমিটির কাছে যাবে না বলে জানিয়ে দেয় কৃষক সংগঠনগুলি। তাদের অভিযোগ কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য যে কমিটি গঠন করা হয়েছে তার সদস্যরাই অতীতে কৃষি আইন কার্যকর করার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন।