কলকাতা: ফের কেন্দ্র-রাজ্যের সংঘাতের অভিযোগ তুলে বাংলার রাজনীতি তপ্ত করতে শুরু করল বিজেপি৷ সোমবার বিজেপির সদরদপ্তরে বসে বাংলায় সাংবিধানিক সংকটের অভিযোগ বিজেপির মুখ্য সচেতক শাহনাওয়াজ হোসেন৷ সাংবাদিক বৈঠক ডেকে কস্টম বনাম পুলিশি দ্বন্দ্বের অভিযোগ তোলেন৷ বলেন, ‘‘বিমানবন্দর কাস্টমের দখলে থাকে৷ কাস্টমের এলাকায় ঢুকতে অনুমতি প্রয়োজন হয়৷ কিন্তু, পুলিশ ওখানে গেল কীভাবে?’’ (দেখুন ভিডিও)
এদিন তৃণমূল সাংসদকে আক্রমণ করে মমতাকেও বিঁধতে ছাড়েননি বিজেপির নেতারা৷ রাজীব কুমারের প্রসঙ্গ তুলে সাংবিধানিক সংকটেক অভিযোগ তোলা হয়৷ একই সঙ্গে ১৬ মার্চ রাতের ঘটনার পূর্ণঙ্গ তদন্তেরও দাবি জানানো হয়৷ বিজেপি সূত্রে খবর, তদন্তে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ তুলে গোটা ঘটনার তদন্তের দাবি তুলে নির্বাচন কমিশনে যাওয়ার ভাবনা রয়েছে৷ সাংসদ স্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআরের প্রসঙ্গ তুলে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিজেপির নেতারা৷
রবিবার ছুটির দিনে স্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপি-সিপিএমের বিরুদ্ধে সরব হন অভিষেক৷ অভিযোগ প্রমাণ হলে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে অভিষেক বলেন, ‘‘ যদি দুকেজি সোনা নিয়ে আমার স্ত্রী ধরা পড়েন, তাহলে সেই সোনা বাজেয়াপ্ত করা হল না। আমার স্ত্রী বিমানবন্দরে আটক হননি। ভোটের মুখে বিজেপি অপপ্রচার করছে। মূলত আমার স্ত্রীকে হেনস্তা করার জন্।ই বিজেপি এসব করেছে। ইতিমধ্যেই এনিয়ে অভিযোগ জমা করেছি। সাংবাদিক সম্মেলনে একথাই বললেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুল্ক দপ্তরের কাছে ব্যাখ্যা চাই। শুল্ক দপ্তরের কর্তারা আমার স্ত্রীর কাছে অনৈতিকভাবে টাকা দাবি করেছিল, ৫০ হাজার টাকা।সবটাই দিল্লির চক্রান্ত। শুল্ক দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারির এস কে বিশ্বাস আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর করেন। এতই যখন সোনা পাচারের অভিযোগ উঠছে তাহলে বিমান বন্দরের সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আনুক শুল্ক দপ্তরের কর্তারা। আসলে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে তাঁকে রোখার চেষ্টা করছে বিজেপি। কিন্তু এসব করে কোনও লাভ হবে না। তাই সোনা নিয়ে দমদম বিমান বন্দরে তাঁর স্ত্রীর আক হওয়া ঘটনাটিতে কোনও সত্যতা নেই। বিষয়টি নিয়ে যেকোনও রকমের তদন্ত হোক আসল সত্যিটা সামনে আসুক। কিন্তু মিথ্যে কথা বলে আমার বা আমার স্ত্রীর সম্মানহানি করবেন না। আর সোনা পাচার হচ্ছে কাস্টমসে রিপোর্ট হওয়ার আগে তা বাইরে কী করে ছড়িয়ে পড়ল জবাব চাই। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী বলেই কী হেনস্তার চেষ্টা। কোনওরকম তথ্য প্রমাণ ছাড়া এই অভিযোগ আনায় আমরা বিরক্ত, ফৌজদারি ও দেওয়ানি আদালতে মামলা হবে। যারা এমন হেনস্তার মূলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করি, এই সিসিটিভি ফুটেজ শুল্ক দপ্তরের তৃণমূলের নয়। তাহলে তা দেখানো হোক। আজ আমার স্ত্রীর সঙ্গে যদি নিরাপত্তারক্ষী থাকত তাহলে তাঁকে হেনস্তা করা সম্ভব হত কী? যদি প্রমাণ করতে পারে রাজনীতি ছেড়ে দেব। এই ঘটনা একসঙ্গে সিপিএম, বিজেপি ও কংগ্রেসের চক্রান্ত, এমনটাই অভিযোগ তাঁর। পাশাপাশি দাবি, এভাবে তাঁকে আটকানো যাবে না। রাজনৈতিক পথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুক বিজেপি। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর ছেলের বিরুদ্ধে তো অভিযোগের শেষ নেই। কই আমরা তো তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করি না। গোটা ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।