নয়াদিল্লি: নিজের পায়ে নিজেই কুড়ুল মারল দিল্লি পুলিশ। সুপ্রিম কোর্টের বারণ সত্ত্বেও কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিল রুখতে গিয়ে পুলিশ গোটা ঘটনাকে নৃশংসতার একটা অন্য মাত্রা দিয়েছে। মঙ্গলবার উত্তপ্ত দিল্লির তাণ্ডবের শিকার হলেন ১৫৩ জন পুলিককর্মী। প্রচন্ডভাবে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ২ পুলিশকর্মী। পুলিশের উপর হামলা ও সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করার অভিযোগে কৃষকদের নামে এখনও ১৫টি এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ।
দেশের ৭২তম সাধারণতন্ত্র দিবসে দিল্লির সীমান্তে ট্রাক্টর মিছিলের কর্মসূচি নিয়েছিল কৃষক বিরোধী আইনের প্রতিবাদে ৩ মাস ধরে আন্দোলন করা কৃষকরা। অনুমতি দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট দিল্লির পুলিশকে জানিয়েছিল, কৃষকদের যেন কোথাও বাধা না দেওয়া হয়। গোটা দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ কৃষক তাদের ট্রাক্টর নিয়ে এসে জড়ো হন দিল্লির তটে।
পুলিশের দাবি, পূর্ব নির্ধারিত সময়ের আগেই শুরু হয়ে যায় মিছিল। মানা হয় না পূর্ব নির্ধারিত যাত্রাপথও। মিছিল লালকেল্লার দিকে এগিয়ে গেলে রাস্তায় নামে পুলিশ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণাধীন দিল্লি পুলিশ লাঠি চার্জ ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে কৃষকদের পিছু হঠানোর চেষ্টা করে। কৃষকদের মূল দিল্লিতে ঢুকতে দেবে না বলে স্টিল ও কংক্রিটের দেওয়াল তুলে দেয় পুলিশ। সর্বোচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কৃষকদের মিছিলে হস্তক্ষেপ করে দিল্লি পুলিশ। তার খেসারত হাতেনাতে দিতে হল পুলিশকে। কৃষকদের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হন ১৫৩ জন পুলিশ। তারমধ্যে ২ জন গুরুতর আহত। রয়েছেন আইসিইউতে।
সাধারণতন্ত্র দিবসের দিনে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদ করেছে ওয়াকিবহাল মহল। উত্তপ্ত পরিবেশে এখনও বন্ধ দিল্লির বিভিন্ন জায়গার ইন্টারনেট পরিষেবা। ৩০ কোম্পানি সিআরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছে সিংঘু ও টিকরি সীমান্তে। তৈরি রাখা হয়েছে আরো ১৫ কোম্পানি। তাই মঙ্গলবারের ঘটনার পর অন্তত আগামী ২ মাস সংঘবদ্ধ শক্তিশালী কৃষকদের আন্দোলনের কী হবে সেই নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক মহলের কপালে।