নয়াদিল্লি: বিগত কয়েক দিন ধরে কেন্দ্রীয় সরকারকে ব্যাপক চাপে রেখেছিল দেশের কৃষকরা। বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়ে চলছিল আন্দোলন। গতকাল তার প্রেক্ষিতেই ট্রাক্টর মিছিল করে লালকেল্লা অভিযান করে আন্দোলনরত কৃষকরা। কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে যে পরিস্থিতি এইভাবে তাদের বিপক্ষে চলে যাবে সেটা হয়তো তারা নিজেরাও কল্পনা করতে পারেনি। গতকালের লালকেল্লা এজে ঘটনা ঘটেছে তার প্রেক্ষিতে এবার দিল্লি পুলিশ ইউএপিএ ধারায় মামলা করা শুরু করল। স্বাভাবিকভাবেই এখন ব্যাপক চাপে পড়ে গিয়েছেন দেশের কৃষকরা।
ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের জেলা প্রশাসন কৃষকদের নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়েছে প্রতিবাদ স্থল খালি করে দেবার জন্য। কৃষকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে যেন তারা প্রতিবাদ স্থল খালি করে দেয়। এর আগে দাবি করা হয়েছিল যে দিল্লির সিংঘু বর্ডারে প্রতিবাদের নামে ভাঁওতা করা হচ্ছে। তাই সেখান থেকেও কৃষকদের উঠে যাওয়ার জন্য জোর করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই গতকালের ঘটনার জেরে ২৫ টি ক্রিমিনাল কেস ফাইল করা হয়েছে এবং ১৯ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে দাঙ্গাকে উস্কানি দেওয়া, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস এবং পুলিশের ওপর আক্রমণের অভিযোগে কমপক্ষে ২০০ জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ।
আরও জানা যাচ্ছে, ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের নেতা রাকেশ তিকাইতকে ইতিমধ্যেই আত্মসমর্পণ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি প্রথমেই প্রশ্ন তুলেছিলেন দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে। জানতে চেয়েছিলেন, লালকেল্লায় প্রতিবাদীরা যখন জোর করে ঢুকার চেষ্টা করছে তখন কেন পুলিশ গুলি চালায়নি তাদের আটকানোর জন্য। এইভাবে কে আন্দোলনরত কৃষকদের উস্কানি দিয়ে লালকেল্লায় নিয়ে গেল, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। উল্লেখ্য, প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন লালকেল্লায় যে তাণ্ডবের ঘটনা ঘটেছে তার প্রতিবাদে আন্দোলন প্রত্যাহার করে ২ কৃষক সংগঠন। তাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, গতকালের ঘটনায় তারা ভীষণভাবে মর্মাহত এবং যে ঘটনা ঘটেছে তা একেবারেই অনভিপ্রেত বলে দাবি করা হয়েছে।