সংবাদমাধ্যমের উস্কানিমূলক অনুষ্ঠান নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ কেন্দ্র! মোদী সরকারকে ‘সুপ্রিম’ ধাক্কা!

সংবাদমাধ্যমের উস্কানিমূলক অনুষ্ঠান নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ কেন্দ্র! মোদী সরকারকে ‘সুপ্রিম’ ধাক্কা!

নয়াদিল্লি: টিভি চ্যানেলে সম্প্রচারিত প্রোগ্রাম ও তার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফের একবার ‘সুপ্রিম’ তোপের মুখে পড়ল কেন্দ্র সরকার। টেলিভিশন চ্যানেলগুলিতে উস্কানিমূলক প্রোগ্রামের সম্প্রচার দিন দিন বেড়ে চলেছে, আর কেন্দ্র সরকার তাতে রাশ টানতে ব্যর্থ, এদিন এমনটাই দাবি করল দেশের শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রকে অবিলম্বে এ বিষয়ে তৎপর হওয়ার কথাও বলা হয়েছে আদালতের তরফে, জানা গেছে সূত্রের খবরে।

শুধু টেলিভিশন প্রোগ্রামই নয়, কিছু কিছু ক্ষেত্রে সংবাদ পরিবেশনের উপরেও রাশ টানা প্রয়োজন, জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ঠিক কোন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে শীর্ষ আদালত? জানা গেছে, প্রজাতন্ত্র দিবসের কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিলকে কেন্দ্র করে দিল্লিতে তৈরি হওয়া পরিস্থিতিই কেন্দ্রের উপর ‘সুপ্রিম’ তোপের কারণ। ২৬ জানুয়ারি কৃষকদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দিল্লি ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বন্ধ করা হয়েছিল ইন্টারনেট পরিষেবা। অশান্তির মাঝে ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতাও তৈরি হয়েছিল। তার জেরেই এদিন কেন্দ্রকে সতর্ক করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিলে অশান্তির মাঝেই প্রাণ হারান এক ব্যক্তি। হুড়োহুড়ির মাঝে ট্র্যাক্টর উল্টে গিয়েই তাঁর মৃত্যু হলেও প্রাথমিক ভাবে এই মৃত্যুর কারণ নিয়ে নানা তত্ত্ব ছড়ায়। বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, পুলিশের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। এই পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণ প্রসঙ্গে এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ কেন্দ্রের সমালোচনা করে। বিচারপতি এ এস বোপান্না এবং ভি রামাসুব্রহ্মমণ্যম কেন্দ্রের প্রতিনিধিদের জানান, “টেলিভিশনে এমন কিছু প্রোগ্রাম সম্প্রচারিত হয়, যাতে উস্কানি ও প্ররোচনামূলক প্রচার চালানো হয়। কিন্তু তা নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্র কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না।” এ প্রসঙ্গে গত বছরের মার্চে দিল্লির নিজামুদ্দিনে তবলিঘি জামাত আয়োজিত সমাবেশে পরিবেশিত সংবাদের কথাও বলেন বিচারপতিরা।

উল্লেখ্য, দেশে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর শুরুর দিকে দেশ বিদেশ থেকে আসা বহু জামাত সদস্যরা দিল্লিতে এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর কারণ হিসেবে তাঁদেরকেই দেগে দেওয়া হয় বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

9 − seven =