নয়াদিল্লি: শুক্রবার সন্ধ্যায় দিল্লির ইজরায়েল দূতাবাসের কাছে একটি ফুটপাতে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে হতাহতের কোনো খবর না মিললেও ওই এলাকার বেশ কিছু অংশে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই। তবে এই ঘটনায় আতঙ্ক বাড়িয়েছে একটি চিঠি! জানা গিয়েছে, ইজরাইলি দূতাবাস থেকে কয়েক শো মিটার দূরে একটি চলন্ত গাড়ি প্যাকেট ছুড়ে বোমা ফেলে সেখানে। সেই প্যাকেট থেকে উদ্ধার করা গিয়েছে একটি চিঠি যাতে লেখা রয়েছে, ‘এটি একটি ট্রেলার মাত্র’।
দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, যে প্যাকেট ছোড়া হয়েছিল ওই প্যাকেটের মধ্যেই ছিল বোমা। তার সঙ্গে ছিল একটি চিঠি যেটি পরবর্তী ক্ষেত্রে উদ্ধার করা হয়েছে। সেই চিঠিতে লেখা ছিল, এটা শুধুমাত্র একটা ট্রেলার। জেনারেল কাসেম সোলেমানি হত্যার বদলা নেওয়া হবে! প্রাথমিক অনুমান, ইজরাইলি রাষ্ট্রদূতকে উদ্দেশ্য করেই এই হুমকি চিঠি এবং বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এই ঘটনার পর স্বাভাবিক ভাবে দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে ইরানের যোগসাজশ রয়েছে বলে ধারণা। সব মিলিয়ে রাজধানীর নিরাপত্তা নিয়ে ফের একবার প্রশ্ন চিহ্ন উঠতে শুরু করেছে। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, যেখানে বিস্ফোরণ ঘটেছিল তার দুই কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী সহ একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাসভবন। তাই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উদ্বেগ এবং আতঙ্ক দুইই বাড়ছে সমানভাবে।
গতকাল বিকেল নাগাদ ইজরায়েলের দূতাবাস থেকে কমপক্ষে ৪০-৫০ মিটার দূরে ‘জিন্দাল হাউস’ নামে একটি বেসরকারি ফার্মের কাছে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানী দিল্লিকে নিরাপত্তার মূলে ফেলা হয় এবং বিভিন্ন জায়গায় নাকাবন্দি করে শুরু হয় তল্লাশি। ইতিমধ্যে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এআইএ। যদি এখনও পর্যন্ত এটা জানা সম্ভব হয়নি যে আদতে এই ঘটনার পেছনে কার হাত রয়েছে বা কোন জঙ্গি সংগঠনের হাতে রয়েছে কিনা। তবে ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ইতিমধ্যেই দুই ব্যক্তিকে অভিযুক্ত হিসেবে সন্দেহ করছে গোয়েন্দারা।