টিকাকরণে বিরাট সাফল্য ভারতের! দু’দিনে টিকা নিলেন প্রায় ৬ লক্ষ

টিকাকরণে বিরাট সাফল্য ভারতের! দু’দিনে টিকা নিলেন প্রায় ৬ লক্ষ

নয়াদিল্লি: করোনা অতিমারীর বিশ্বজোড়া সংক্রমণ গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে যে বিপর্যয় ডেকে এনেছিল পৃথিবীর বুকে, তার মেঘ কেটে গেছে অনেকটাই। ভ্যাকসিনের আবিষ্কার আতঙ্কিত মানুষের কাছে নিয়ে এসেছে স্বস্তির নিঃশ্বাস। বিভিন্ন দেশের মতো ভারতেও শুরু হয়েছে করোনার টিকাকরণ প্রক্রিয়া।

জানা গেছে, গত দু’দিনে দেশ জুড়ে অন্তত ৫ লক্ষ ৭০ হাজার মানুষ করোনা টিকা নিয়েছেন। ভারতে টিকাকরণ প্রক্রিয়া যে এগিয়ে চলেছে নিজস্ব গতিতেই এই পরিসংখ্যানই তার প্রমাণ। সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতি এবং শুক্রবার বিভিন্ন রাজ্যে ১০ হাজারেরও বেশি ক্যাম্পে টিকাদান চলেছে। আর তাতে অংশগ্রহণ করেছেন ৬ লাখের কাছাকাছি মানুষ। তবে পরিসংখ্যান বলছে, শনিবার টিকা গ্রহণের হার আগের দু’দিনের চেয়ে খানিক কমেছে। এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ২০৬১৩০ মানুষ। কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলিকে টিকা বন্টনের হার বাড়ানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে এদিন।

বস্তুত, গত ১৬ জানুয়ারি টিকাকরণ শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ভারতে সফল ভাবে টিকা বন্টন করা হয়েছে ৩৭০৬১৫৭ জন মানুষের মধ্যে। দু-একটি ব্যতিক্রম ছাড়া টিকাকরণ প্রক্রিয়া চলে এসেছে নির্বিঘ্নেই। দেশ জুড়ে এখনও পর্যন্ত মোট ৬৮৮৩০ টি সেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই এই অগ্রগতি বিশ্বের দরবারে প্রশংসনীয়। করোনা টিকাকরণে ভারতই হয়েছে দাঁড়িয়েছে বিশ্বের প্রথম দেশ যে দ্রুততার সঙ্গে ১ লাখের মাত্রা ছুঁয়েছে। শুধু এক লাখই নয় পেরিয়ে গেছে দুই এবং তিন লাখের মাত্রাও। করোনা টিকাকরণ প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কেন্দ্রের তরফ থেকে রাজ্য গুলিকে কিছু উপদেশ ও নির্দেশাবলী দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে গ্রাহকদের আধার কার্ড ভিত্তিক টিকাকরণ প্রয়োজন। তার মাধ্যমেই এ প্রক্রিয়ায় বিভ্রান্তি ও জটিলতা এড়ানো যাবে। এই মর্মে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ রাজ্য সচিবদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন বলে জানা গেছে সূত্রের খবর মারফত। উল্লেখ্য, পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট নির্মিত কোভিশিল্ড কিংবা ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন দেশ জুড়ে বন্টিত হলেও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয়ে টিকা নিচ্ছেন না অনেকেই, শোনা যাচ্ছিল তেমনটাই। কিন্তু গত দু’দিনের পরিসংখ্যানে সেই সম্ভাবনা দূর হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *