রেল বাজেটে বঞ্চিত বাংলা, অধিকাংশ প্রকল্পে বরাদ্দ মাত্র হাজার টাকা!

রেল বাজেটে বঞ্চিত বাংলা, অধিকাংশ প্রকল্পে বরাদ্দ মাত্র হাজার টাকা!

নয়াদিল্লি:  রেল বাজেটে ফের বঞ্চিত বাংলা৷ বুধবার রাতে রেল মন্ত্রকের প্রকাশিত ‘পিঙ্ক বুক’-এ বঞ্চনার খতিয়ান স্পষ্ট৷ রেলওয়ে প্রকল্প সংবলিত ২০২১-২২ অর্থবর্ষের ‘পিঙ্ক বুক’-এ দেখা গেল বাংলার একাধিক রেল প্রকল্পে কোনও বরাদ্দই নেই৷ আবার বেনজির ভাবে কোনও প্রকল্পে দেওয়া হয়েছে মাত্র এক হাজার টাকা!

আরও পড়ুন- কৃষক-বিদ্রোহ: গ্রেটা থুনবার্গের বিরুদ্ধে FIR পুলিশের, জবাব পরিবেশকর্মীর

রেলমন্ত্রী থাকার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সকল প্রকাল্পের উদ্বোধন করেছিলেন, তার মধ্যে বেশিরভাগের কপালেই কোনও বরাদ্দ জোটেনি৷ এমনকী কিছু প্রকল্পের নামই নেই রেলের ‘পিঙ্ক বুক’-এ৷ ফলে আগামী দিনে এই সকল প্রকল্পগুলির ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে সংশয় দেখা গিয়েছে৷ এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, পিঙ্ক বুকে কোনও প্রকল্পের নাম থাকার অর্থ, আজ হোক বা কয়েক বছর বাদ, প্রকল্পের বাস্তবায়ন হবেই৷ কিন্তু পিঙ্ক বুকে নাম না থাকলে বুঝতে হবে ওই প্রকল্প থেকে হাত গুটিয়ে নিয়েছে রেল৷ 

বাংলা বঞ্চনার অভিযোগ তুললেও রেল বলছে, আগের তুলনায় ২০২১-২২ অর্থবর্ষে বাংলার বিভিন্ন রেল প্রকল্পে ৫১ শতাংশ বরাদ্দের হার বৃদ্ধি পেয়েছে৷ তাদের দাবি, যে সকল প্রকল্পের জন্য বাজেটে অর্থ বরাদ্দ হয়নি বা নামমাত্র বরাদ্দ করা হয়েছে সেগুলি জমি জটে আটকে রয়েছে৷

বাংলার যে সকল প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়নি তার মধ্যে রয়েছে দীঘা-জলেশ্বর নতুন লাইন, আজিমগঞ্জ থেকে মুর্শিদাবাদ (জিয়াগঞ্জ) নতুন লাইন, বালুরঘাট-হিলি এবং কালিয়াগঞ্জ-বুনিয়াদপুর অংশে নতুন লাইন তৈরির প্রকল্প৷ আবার নামমাত্র হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে কাঁচরাপাড়া নিউ রেল কোচ উৎপাদন ইউনিট সহ সাঁইথিয়া-তারাপীঠ থার্ড লাইন, হাঁসডিহা-গোদ্দা নতুন লাইনের কাজের জন্য৷ 

আরও পড়ুন- জল ভেবে স্যানিটাইজার খেয়ে ফেললেন পুর আধিকারিক! ভিডিও ভাইরাল

লক্ষ্মীকান্তপুর-নামখানা-চন্দননগর নতুন লাইন তৈরির জন্য কোনও টাকা রেল বাজেটে বরাদ্দ হয়নি৷ নতুন রেল লাইন তৈরির ক্ষেত্রেই বাংলাকে বঞ্চিত হতে হয়েছে তা নয়, ডাবলিং কিংবা গজ কনভার্সনের ক্ষেত্রেও নামমাত্র বরাদ্দ করা হয়েছে৷ যে সকল প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ হয়েছে, সেগুলিও যথেষ্ট নয়৷ যেমন তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুরে নতুন লাইন তৈরির জন্য দেওয়া হয়েছে মাত্র ৩০ কোটি টাকা৷ তবে বরাদ্দ বেড়েছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পে৷ গতবারের তুলনায় ২০০ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে৷ কিন্তু সেটাও চাহিদার নিরিখে সন্তোষজনক নয়৷   
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven + 9 =