নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকারের বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে কৃষকরা আন্দোলনে নেমেছেন। প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন লালকেল্লা অভিযানের পর থেকে সেই আন্দোলনে কিছুটা হলেও ভাটা পড়লেও এখনো পুরোপুরি নিজেদের আন্দোলন প্রত্যাহার করার কোন রকম ইঙ্গিত দেননি কৃষকরা। উল্টে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা। এই পরিস্থিতিতে আজ রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে ফের একবার কৃষি আইনের পক্ষে সওয়াল তুললেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী। একই সঙ্গে যারা আন্দোলনকারীদের সমর্থন করছেন তাদের একহাত নিলেন তিনি।
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনকারীদের উচিত সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা এবং খুব তাড়াতাড়ি এই কৃষক আন্দোলন প্রত্যাহার করা। আলোচনার রাস্তা সব সময় খোলা আছে বলে এদিন আশ্বাস দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতদিন শ্রমজীবী এবং বুদ্ধিজীবী ছিল আর এখন আন্দোলনজীবী হয়েছে অনেকে। তাঁর কথায়, এই আন্দোলনজীবীরা আসলে পরজীবী, এদের থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে। এই প্রসঙ্গে আরো কথা বলে বিরোধীদের আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। দাবি করেছেন, কেউ কৃষি আইনের সুফল নিয়ে কথা বলছে না। সবাই ভুল ধরতে ব্যস্ত। তবে আইনে কোথাও ভুল থাকলে তা ঠিক করা হবে বলে এদিন ফের একবার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। কৃষি আইন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সরাসরি কংগ্রেসকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, সংস্কার চেয়েছিল তারাই। এখন যখন সংস্কার করার চেষ্টা চলছে তখন বাধা দেওয়ার প্রক্রিয়া ঘটানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘বুঝতে পারছিলাম না দেশের কথা বলছেন, নাকি বাংলার’! ডেরেককে ব্যঙ্গ মোদীর
এই কৃষি আইন সংক্রান্ত বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনকেও একহাত নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, তিনি খুব মন দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়নের বক্তব্য শুনছিলেন। ডেরেক বাক-স্বাধীনতা থেকে শুরু করে গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলছিলেন, সুন্দর সুন্দর শব্দ ব্যবহার করছিলেন। এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ব্যঙ্গাত্মক আক্রমণ, তিনি এটা বুঝতে পারছিলেন না যে ডেরেক ও’ব্রায়েন পশ্চিমবঙ্গের কথা বলছেন নাকি দেশের! মোদীর দাবি, আসলে তিনি যে বিষয়ে কথা বলছিলেন সেগুলো নিজের রাজ্যে দিনভর দেখতে পান। তাই হয়তো এখানে ভুল করে দেশের কথা বলতে গিয়ে বাংলার কথা বলে ফেলেছেন।