অক্সফোর্ড টিকায় “না” দঃ আফ্রিকার! অ্যাস্ট্রোজেনেকার পাশেই থাকছে ভারত

অক্সফোর্ড টিকায় “না” দঃ আফ্রিকার! অ্যাস্ট্রোজেনেকার পাশেই থাকছে ভারত

36f2501e78e7403e1e17f4e569fef417

নয়াদিল্লি: লন্ডনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি নির্মিত করোনা ভ্যাকসিন অ্যাস্ট্রোজেনেকা বিশ্বের দরবারে সফল করোনা প্রতিষেধকগুলির মধ্যে অন্যতম। কিন্তু সম্প্রতি ব্রিটেনের এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে সন্দিহান হয়ে উঠেছে একাধিক দেশ। টিকাকরণ প্রক্রিয়া স্থগিতও করা হয়েছে কোথাও কোথাও। কিন্তু এমতাবস্থায় অ্যাস্ট্রোজেনেকার পাশেই দাঁড়াচ্ছে ভারত। 

আবার পড়ুন- রবীন্দ্রনাথের চেয়ারে বসেছিলেন শাহ? লোকসভায় পেশ তথ্য ও ছবি!

অ্যাস্ট্রোজেনেকা ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা এবং নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই ভারতের, এদিন এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার গবেষকদের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে হালকা থেকে মাঝারি মানের করোনা সংক্রমণে লন্ডনের এই ভ্যাকসিন বিশেষ কার্যকরী হতে পারছে না। অ্যাস্ট্রোজেনেকার ব্যবহার তাঁরা স্থগিত করেছে বলেও জানা গেছে সূত্রের খবরে। কিন্তু ভারত শুধু অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের পাশেই দাঁড়ায়নি, বরং আরো ১ লক্ষ অ্যাস্ট্রোজেনেকা ডোজের অর্ডারও দিয়ে ফেলেছে। এ প্রসঙ্গে এদিন সাংবাদিকদের কাছে নীতি আয়োগ সদস্য ভি কে পাল জানিয়েছেন, “আমাদের টিকাকরণ প্রক্রিয়া সফল। আমি আপনাদের বলছি আমরা এর সঙ্গেই আছি। এটা নিয়ে এখনি ভয় পাচ্ছি না।”

বস্তুত, দক্ষিণ আফ্রিকায় গবেষকরা এক ভিন্ন ধরণের করোনা সংক্রমণের প্রকার আবিষ্কার করেছেন। আর সেই পরিপ্রেক্ষিতেই অ্যাস্ট্রোজেনেকার ব্যবহার স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওই দেশের সরকার। কিন্তু ভারতে এখনও পর্যন্ত করোনার সেই পৃথকধর্মী সংক্রমণের হদিশ মেলেনি। তাই এদেশে টিকাকরণ থামিয়ে দেওয়ার প্রশ্নই উঠছে না। বিশেষত, এই অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনই ভারতে তৈরি করেছে পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট। এদেশে তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘কোভিশিল্ড’। তাই অ্যাস্ট্রোজেনেকার প্রতি ভারতের আশ্বাস নিতান্তই প্রত্যাশিত। 

আরও পড়ুন- বাংলাজুড়ে থমকে যাবে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা, ফের ২ দিনের ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের ঘোষণা

উল্লেখ্য, শুধু দক্ষিণ আফ্রিকাই নয়, অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন নিয়ে সম্প্রতি দ্বিমত পোষণ করেছে একাধিক দেশ। ডেনমার্ক, নরওয়ে ছাড়াও সেই তালিকায় রয়েছে সুইৎজারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, জার্মানির মতো দেশের নাম। অ্যাস্ট্রোজেনেকার গাইডলাইনে প্রবীণ তথা ৬৫ বছরের উর্দ্ধে ব্যক্তিদের সুরক্ষা সমন্ধে নিশ্চিত আশ্বাস নেই বলে জানিয়েছে ওই সব দেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *