ভোটের পর রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা অনুব্রতর

বোলপুর: তিনি মুখ খুললেই জন্ম দেয় একটি বিতর্ক৷ আর ভোট এলেই তিনি হাজির হয়ে যান নানন দাওয়াই নিয়ে৷ পুলিশের গাড়িতে বোম মারা হোক কিংবা নকুলদানা হয়ে শলাকা, তাঁর ঝুলিতে কী নেই৷ এহেন অনুব্রতকে নিয়ে দিন-রাত বাংলাজুড়ে চর্চা চললেও এবার সরাসরি রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা তৃণমূলের জেলা সভাপতির৷ এবার প্রকাশ্যে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে অনুব্রতর মন্তব্য, ‘‘লোকসভা নির্বাচনে

ভোটের পর রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা অনুব্রতর

বোলপুর: তিনি মুখ খুললেই জন্ম দেয় একটি বিতর্ক৷ আর ভোট এলেই তিনি হাজির হয়ে যান নানন দাওয়াই নিয়ে৷ পুলিশের গাড়িতে বোম মারা হোক কিংবা নকুলদানা হয়ে শলাকা, তাঁর ঝুলিতে কী নেই৷ এহেন অনুব্রতকে নিয়ে দিন-রাত বাংলাজুড়ে চর্চা চললেও এবার সরাসরি রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা তৃণমূলের জেলা সভাপতির৷

এবার প্রকাশ্যে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে অনুব্রতর মন্তব্য, ‘‘লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি যদি ৮টি আসন পায়, তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব৷’’  বলেন, ‘‘অন্য কাউকে ভোট দেবেন না। বাইরে যে ছেলেরা দাঁড়িয়ে থাকবে শলাকা নিয়ে, মানে ধূপকাঠি! যা করার ওরাই করে দেবে, ভোট পড়বে জোড়া ফুলে।’’ বৃহস্পতিবার নানুরের প্রকাশ্যে জনসভায় এভাবেই ভোটের দিন কর্মীদের শলাকা নিয়ে উপস্থিতির কথা আগাম জাহির করলেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এদিনের জনসভায় এখানেই থেমে থাকেননি ডাক সাইটে এই নেতা।

বোলপুরের সিপিএম প্রার্থী তথা ওই দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রামচন্দ্র ডোমকে তাড়া করার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। তিনি বলেন, দিল্লি যাওয়ার লোভ সামলাতে পারছেন না। ফের প্লেনে বিনা পয়সায় চড়বেন। আপনাকে হারিয়ে ছাড়ব। গোহারা করে হারাব, তাড়া করব, জায়গা দেব না। জল চাইলে, জল দেব, ভোট দেব না। এই ভোট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এদিন বোলপুরের সভা থেকেও সিপিএম প্রার্থীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন অনুব্রতবাবু। সেখানেই প্রথম শলাকার বিষয়টি সামনে আনেন। এদিন দু’টি জনসভায় উপস্থিত ছিলেন মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, জেলা সহসভাপতি অভিজিৎ সিংহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 1 =