নয়াদিল্লি: তৃণমূল সাংসদের ইস্তফার পর বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক শুখেন্দুশেখর রায়। দীনেশ ত্রিবেদীর ইস্তফায় ঘোড়া কেনাবেচা সম্ভাবনাও থাকতে পারে বলে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন তিনি৷ সাংসদ পদ থেকে ইস্তফার পর এবার কি বিজেপিতে যাবেন ত্রিবেদী? উস্কে দিলেন সেই জল্পনা!
শুক্রবার রাজ্যসভায় বাজেট নিয়ে আলোচনাসভায় সকলকে চমকে দিয়ে ইস্তফা দিয়েছেন সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। বর্ষীয়ান সংসদের এই সিদ্ধান্তে কার্যত তোলপাড় হয়ে গেছে রাজ্য রাজনীতির ময়দান। তার তৃণমূল সংসদপদ ছাড়ার ঘটনার অপ্রত্যাশিত ঘোষণায় স্তম্ভিত দেশের রাজনৈতিক মহলও। তবে দীনেশ ত্রিবেদীর ইস্তফায় ঘোড়া কেনাবেচার সম্ভাবনা দেখছেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক শুখেন্দুশেখর রায়। শুক্রবার তিনি দীনেশ ত্রিবেদীকে কটাক্ষ করে বলেন, “আজ রাজ্যসভায় বাজেট নিয়ে আলোচনায় তৃণমূলের তরফে দুজনের বলার কথা ছিল। আবির রঞ্জন বিশ্বাস এবং আমার। রাজ্যসভায় বাজেটের উপর বির্তকের সময় কোনও মধ্যাহ্নভোজের বিরতি হয় না। তৃণমূলের জন্য বরাদ্দ সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পরে দুপুর দেড়টা নাগাদ আমি সংসদ থেকে বাড়ি গিয়েছিলাম খাবার এবং ওষুধ নেওয়ার জন্য। ফিরে এসে দেখি সরকার পক্ষকে ম্যানেজ করে উনি রাজ্যসভার বলতে উঠে যান। কিন্তু বাজেট নিয়ে একটাও কথা না বললে উনি অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলতে থাকেন।”
তিনি আরও জানান, “তৃণমূল-কংগ্রেস তৈরি হয়েছে তৃণমূল স্তরের কর্মীদের নিয়ে। ওনার ইস্তফায় একজন ওই স্তরের কর্মী এবার রাজ্যসভায় আসার সুযোগ পাবেন।” তৃণমূলের রাজ্যসভার সংসদ দীনেশ ত্রিবেদী ইস্তফার পরে জানান, “দলে আমার দম বন্ধ হয়ে আসছিল। দলের জন্য কাজ করতে পারছিলাম না।” এই কথাকে কটাক্ষ করে শুখেন্দুবাবু জানান, “ওনার তো মাঝে মাঝেই দম বন্ধ হয়ে আসে। লোকসভা ভোটে যখন হেরে গিয়েও দমবন্ধ হয়ে এসেছিল। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে পড়ে রাজ্যসভার টিকিট পেয়েছিলেন। এরপর আবার যদি কোনোদিন মোদি সরকারের অবস্থা খারাপ হলে তখন ওনার দমবন্ধ হয়ে আসবে। এত বারবার দম বন্ধ হয়ে গেলে তো মুশকিল।” দীনেশ ত্রিবেদীর বিরুদ্ধে তার গুরুতর অভিযোগ, “তৃণমূলের জন্য সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পরও কি করে উনি কথা বলার সুযোগ পান? বিষয়টা খতিয়ে দেখতে হবে। ওনার এই ইস্তফা ঘোড়া কিনা বাঁচার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।”