কলকাতা: করোনা পরবর্তী আবহে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার বার্তা দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারামন। কিন্তু যে হারে চারিদিকে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, তাতে কার্যত চোখে সর্ষেফুল দেখছেন মধ্যবিত্ত জনগণ। রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে জেরবার পরিস্থিতির মাঝেই জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতেও এবার সমস্ত রেকর্ড ছাপিয়ে গেল পেট্রোল ডিজেল।
পেট্রোল ডিজেলের দাম বৃদ্ধি আজকাল প্রায় নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেশ কয়েক মাস ধরেই জ্বালানি তেলের দামের পারদটা রয়েছে উর্দ্ধমুখী। মূল্যবৃদ্ধির এই আবহেই সোমবার ফের নতুন করে বাড়ল পেট্রোল ডিজেলের দাম, যার ফলে সর্বকালীন রেকর্ড গড়ল এই দুই পরিবহন জ্বালানি। জানা গেছে, সোমবার রাজধানীতে পেট্রলের দাম বেড়ে হয়েছে লিটার প্রতি ৮৮ টাকা ৯৯ পয়সা। কলকাতায় তা ছাড়িয়েছে ৯০ টাকার সীমা। শহরে এখন পেট্রোল বিকোচ্ছে লিটারে ৯০ টাকা ২৫ পয়সায়। আর বাণিজ্য নগরী মুম্বাইয়ের দিকে তাকালে রীতিমতো ছ্যাঁকা লাগার জোগাড়। সেখানে পেট্রোলের দাম প্রতি লিটারে ৯৫.৪৬টাকা। পিছিয়ে নেই চেন্নাইও। চেন্নাইয়ে প্রতি লিটার পেট্রলের দাম এসে ঠেকেছে ৯১.৯১ টাকা।
পেট্রোলের পাশাপাশি ডিজেলও কিছু কম যায় না। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সোমবার দিল্লিতে লিটার পিছু ডিজেলের দাম বেড়ে হয়েছে ৭৯ টাকা ৩৫ পয়সা। কলকাতায় এর পরিমাণ ৮২ টাকা ৯৪ পয়সা। এছাড়া মু্ম্বই এবং চেন্নাইয়ে ডিজেলের দাম বেড়ে যথাক্রমে ৮৬ টাকা ৩৪ পয়সা এবং ৮৪ টাকা ৪৪ পয়সা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, মহারাষ্ট্রের প্রভানি জেলায় ‘অ্যাডিটিভ’ মেশানো পেট্রোলের দাম ইতিমধ্যে হাঁকিয়ে ফেলেছে সেঞ্চুরিও। এই নিয়ে পরপর ৭ দিন বাড়ল পেট্রোল ও ডিজেলের দাম। সাধারণ মানুষের হয়রানির ছবিটা এখান থেকে সহজেই অনুমেয়।
বস্তুত, পেট্রোল ডিজেলের মতো জ্বালানি তেলের দাম নির্ভর করে আন্তর্জাতিক বাজারের উপর। আর সে কারণেই আপাতত মূল্যবৃদ্ধি থেকে রেহাই পাওয়ার বিশেষ সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে এই মুহূর্তে অপরিশোধিত তেলের দাম ৬০ ডলার ছাপিয়ে গিয়েছে। এছাড়া ভারতেই বর্তমানে জ্বালানি শুল্ক সর্বাধিক। কিন্তু তা হ্রাসের সম্ভাবনাও নেই বলে জানিয়েছেন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।