নয়াদিল্লি: বিগত কয়েকদিন ধরে লাগাতার দাম বৃদ্ধি হওয়ার পর এখন ১০০ টাকা ছুঁয়েছে পেট্রলের দাম। রাজস্থান এবং মহারাষ্ট্রের কিছু জায়গায় ইতিমধ্যেই এই দাম হয়ে গিয়েছে পেট্রলের, বাকি কয়েকটি রাজ্যে হয়তো আর কয়েক দিনের মধ্যেই ১০০ টাকা হয়ে যাবে পেট্রলের দাম। এই পরিস্থিতিতে যখন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে ঠিক তখন জ্বালানির দাম নিয়ে সেই কংগ্রেস সরকারকেই বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বললেন, আগের সরকার যদি আমদানি নির্ভরতা কমানোর চেষ্টা করতো তাহলে আজ এই দিন দেখতে হত না।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্য, শক্তি ক্ষেত্রে আমদানি নির্ভরতা কমানোর চেষ্টা করেনি আগের কংগ্রেস সরকার। সেই কারণেই আজ জ্বালানির দাম বৃদ্ধির এই হাল হয়েছে। তামিলনাড়ুতে তেল ও গ্যাসের একটি প্রজেক্টের উদ্বোধনী প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন, ভারতের মতো এতো বৈচিত্র্যপূর্ণ এবং প্রভাবশালী দেশের অন্যর ওপরে নির্ভর করা একেবারেই মানায় না। কিন্তু আগের সরকার শক্তি ক্ষেত্রে আমদানি নির্ভর ছিল। ফলে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির এই দিন দেখতে হচ্ছে দেশবাসীকে। পরিসংখ্যান দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত তেলের চাহিদার ৮৫ শতাংশ এবং গ্যাসের চাহিদার ৫৩ শতাংশ আমদানি করে। তবে বর্তমানে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ সরকারের প্রত্যক্ষ কর না কমানো, এই বিষয়টিকে নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে।
আসলে আন্তর্জাতিক বাজারে যখন তাদের দাম কমে গিয়েছিল তখন কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রলের ওপর কর চাপিয়ে দেয় রাজস্ব সংগ্রহের জন্য। পরবর্তী ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাজারের দাম বৃদ্ধি হলেও সেই কর এখনো পর্যন্ত কমায়নি সরকার। ফলে আজ জ্বালানির ক্ষেত্রে এই দাম হয়ে গিয়েছে।