লাদাখ: ভারতের সঙ্গে প্রতিবেশী পাকিস্তানের চিরন্তন দ্বন্দ্বের জেরে উত্তর পশ্চিমের জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্ত অঞ্চল সরাবছরই থাকে উত্তপ্ত।কিন্তু সম্প্রতি পাকিস্তানের দোসর হয়েছিল চিনও। গতবছর করোনা আবহেই ভারতের উত্তরের সীমান্ত অশান্ত হয়ে উঠেছিল চিনা গোলযোগে। তবে অবশেষে কেটে যাচ্ছে সেই অশান্তির মেঘ। অন্তত তেমনটাই জানান দিচ্ছে উপগ্রহ চিত্র।
লাদাখের লাইন অফ কন্ট্রোল (LAC) থেকে সারে সারে লাল ফৌজের গাড়ি সরে যাচ্ছে দেশের অভ্যন্তরের দিকে, এমনই এক ছবি ধরা পড়েছে এদিন উপগ্রহ চিত্রে। পূর্ব লাদাখে চিনা বাহিনী যে বিশাল সেনা ছাউনি গড়ে তুলেছিল তার সবটাই প্রায় খালি করে দেওয়া হচ্ছে। ভারত সীমান্ত ছেড়ে ফিরে যাচ্ছে জি জিনপিংয়ের সেনারা। গত বছরের গ্রীষ্মকাল থেকেই লাদাখে সেনা সরবরাহ করতে দেখা গিয়েছিল চিনকে।
বস্তুত, গত সপ্তাহে সীমান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এবং দুই দেশের সম্পর্কে স্থিতি আনার উদ্দেশ্যে সেনা সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে ভারত ও চিন। দুই দেশই পারমাণবিক অস্ত্রধারী। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে নেওয়াই তাই বিচক্ষণতার নিদর্শন। প্যাংগং লেকের ধারে যে সেনা ও অস্ত্রশস্ত্র সরবারহ করা হয়েছিল দুই দেশের তরফেই তা থেকে পিছিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে চিনা মন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।
মঙ্গলবার মাক্সার টেকনোলজি প্রদত্ত উপগ্রহ চিত্র থেকে দেখা গেছে প্যাংগং লেকের উত্তর সীমান্তে একাধিক চিনা মিলিটারি ক্যাম্প খালি করে দেওয়া হয়েছে। জানুয়ারির শেষ দিক পর্যন্তও ক্যাম্প গুলিকে দেখা গিয়েছিল স্বস্থানেই। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় আধিকারিক জানান, “আমাদের তরফ থেকেও একই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, লাদাখ সীমান্তে চিনা অনুপ্রবেশকে কেন্দ্র করে অশান্তি শুরু হয়েছিল গত বছরের এপ্রিল নাগাদ। এরপর জুন মাসে চিনা হামলায় প্রাণ যায় ২০ জন ভারতীয় জওয়ানের।