মথুরা: দেশ স্বাধীন হয়েছে ৭৩ বছর পেরিয়ে গেছে। স্বাধীন ভারতে অগ্রগতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিস্তার লাভ করেছে অপরাধ জগত। অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী কঠোর থেকে কঠোরতর হয়েছে বিচারব্যবস্থাও। কিন্তু ভাবলে খানিক অবাক লাগে, এ পর্যন্ত এদেশে চূড়ান্ত শাস্তি অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ড পাননি কোনো নারী।
বিচারব্যবস্থার সেই রেকর্ড অবশ্য অবশেষে ভেঙেছেন শবনম। তিনি স্বাধীন ভারতের প্রথম নারী যিনি ফাঁসির দড়ি গলায় পড়তে চলেছেন। গড়তে চলেছেন ইতিহাস। শবনমের অপরাধের ভয়াবহতা শীর্ষ আদালতকে বাধ্য করেছে চূড়ান্ত শাস্তির নিদান দিতে। মথুরায় শুরু হয়েছে ফাঁসির প্রস্তুতি।
এদেশে মহিলাদের ফাঁসির জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে উত্তরপ্রদেশের মথুরায়। কিন্তু এযাবৎ সে ব্যবস্থার প্রয়োজন হয়নি। এখন শবনমের পরিণতির নিদান মথুরায় সৃষ্টি করেছে নতুন চাঞ্চল্য। জানা গেছে, ইতিমধ্যে ফাঁসির কাজে নিযুক্ত মিরাটের পবন জল্লাদ উত্তরপ্রদেশের মথুরার ফাঁসির জায়গাটি পরিদর্শন করেছেন৷ তবে কবে স্বাধীন ভারতের প্রথম মহিলা ফাঁসির দড়ি গলায় পড়বেন সেই তারিখ এখনও নির্ধারিত হয়নি।
শবনম আমরোহার এলাকার বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধে সাত-সাতটি খুনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে আদালতে। ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল শবনম তার প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে কুঠুরি দিয়ে পরিবারের সাত সদস্যকে নির্মমভাবে খুন করে। এই মামলার ক্ষেত্রে শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্ট একাধিকবার আবেদনের পরেও শবনমের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে। এমনকি প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করেছেন রাষ্ট্রপতিও।
বস্তুত, মথুরা জেলে দীর্ঘ দেড়শো বছর ধরেই রয়েছে মহিলাদের ফাঁসির জন্য বিশেষ ব্যবস্থা। এই প্রথমবার তা ব্যবহার করা হবে। শবনমের ফাঁসি প্রসঙ্গে মথুরা জেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিক শৈলেন্দ্র কুমার বলেছেন, “আমরা প্রস্তুতি শুরু করেছি। মৃত্যুর পরোয়ানা জারি হলেই ফাঁসি দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হবে।” সূত্রের খবর, বিহারের বাক্সার থেকে ফাঁসির জন্য দড়ি আনা হচ্ছে। পবন জল্লাদই সবটা পরিদর্শন করেছেন৷