ধর্মীয় স্থানে সরকারি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রশ্ন এবার সুপ্রিম কোর্টে

নয়াদিল্লি: ধর্মীয় স্থান ও মন্দিরের উপর কেন সরকারি কর্তাদের নিয়ন্ত্রণ থাকবে? পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে ভক্তদের হেনস্তার প্রেক্ষিতে এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট। জগন্নাথ মন্দিরের সেবকদের (মন্দিরের দেখভালের দায়িত্বে থাকা কর্মী, পরিচালকমণ্ডলী) হাতে ভক্তদের হেনস্তার মামলার শুনানি চলছিল বিচারপতি এস এ বোবদে এবং বিচারপতি এস এ নাজিরের বেঞ্চে। শুনানির সময় বিচারপতি বোবদে প্রশ্ন করেন, আমি

ধর্মীয় স্থানে সরকারি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রশ্ন এবার সুপ্রিম কোর্টে

নয়াদিল্লি:  ধর্মীয় স্থান ও মন্দিরের উপর কেন সরকারি কর্তাদের নিয়ন্ত্রণ থাকবে? পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে ভক্তদের হেনস্তার প্রেক্ষিতে এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট। জগন্নাথ মন্দিরের সেবকদের (মন্দিরের দেখভালের দায়িত্বে থাকা কর্মী, পরিচালকমণ্ডলী) হাতে ভক্তদের হেনস্তার মামলার শুনানি চলছিল বিচারপতি এস এ বোবদে এবং বিচারপতি এস এ নাজিরের বেঞ্চে।

শুনানির সময় বিচারপতি বোবদে প্রশ্ন করেন, আমি জানি না, সরকারি কর্তারা কেন মন্দিরের পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন? তামিলনাড়ুতে মূর্তি চুরির ঘটনা ঘটেছে। ধর্মীয় ভাবাবেগ ছাড়াও এই মূর্তিগুলি এককথায় অমূল্য! অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল সুপ্রিম কোর্টে জানান, কেরলের সবরীমালা মন্দিরটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ত্রিবাঙ্কুর দেবস্বম বোর্ড (টিডিবি)। সরকারই এই বোর্ডের সদস্যদের নিয়োগ করে। তবু এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। দেশের অনেক মন্দিরের ক্ষেত্রেই একই নিয়ম রয়েছে।

এরপরই বেণুগোপাল প্রশ্ন করেন, ভারতের মতো ধর্মনিরপেক্ষ দেশে সরকার কীভাবে কোনও মন্দিরকে নিয়ন্ত্রণ বা পরিচালনা করতে পারে? এদিকে, দেশের শীর্ষ আদালতকে সাহায্যের দায়িত্বে থাকা সিনিয়র আইনজীবী রঞ্জিত কুমার বিচারকদের জানান, জগন্নাথ মন্দিরে ঘুরে এসে তিনি যে রিপোর্ট তৈরি করেছেন, তা আদালতে জমা দিয়েছেন। এরপর বেঞ্চ জানায়, মন্দিরে আসা ভক্তরা নানা কারণে হেনস্তার শিকার হন। পুরোহিতরা তাঁদের বাধা দেন। অধিকাংশই এক্ষেত্রে প্রতিবাদ করেন না। গরিব ও অশিক্ষিত হওয়ার সুযোগ সেবকরা নেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে পরের মাসে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two + 3 =