নয়াদিল্লি: অনলাইন লেনদেন হোক কিংবা ব্যাঙ্কিং পরিষেবা, প্রতারণা আর আর্থিক তছরূপের ঘটনা দিন দিন বেড়ে চলেছে। ভুয়ো নাম ব্যবহার করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে হামেশাই গায়েব হয়ে যাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। আর অপরাধ জগতের এই বাড়বাড়ন্তই এবার চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে কর্তৃপক্ষের কপালেও। আর্থিক প্রতারকদের হাত থেকে কীভাবে গ্রাহকদের সুরক্ষিত রাখা যায়? সে বিষয়েই এবার এক গুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় মন্ত্রক।
কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ড (EPF) থেকে অনাকাঙ্ক্ষিত আর্থিক লেনদেন রুখতে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে শ্রম মন্ত্রক, এদিন এমনটাই জানা গেছে সূত্রের খবরে। কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, এবার থেকে কোনো গ্রাহক যদি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নিজের সম্পূর্ণ নাম পরিবর্তন করতে চান, তবে ইপিএফ গ্রাহকদের সেই আবেদন যাচাই করতে হবে সংশ্লিষ্ট নিয়োগকর্তাকেও। শুধু তাই নয়, যে সমস্ত ব্যাঙ্কিং প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গিয়েছে তাদের গ্রাহকদের জন্যেও নিদান দিয়েছে কেন্দ্র। সেক্ষেত্রে আবেদনকারীকে সাম্প্রতিক পে-স্লিপ সহ একাধিক সহায়ক নথি জমা দিতে হবে বলে নির্দেশ জারি করা হয়েছে। কর্মীর পে-স্লিপ, অ্যাপয়েন্টমেন্ট অর্ডারের মতো নথি যাচাই করার ক্ষেত্রেই জোর দেওয়া হয়েছে।মূলত নাম ভাঁড়িয়ে ইপিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়ার প্রবণতা দূর করার জন্যেই নেওয়া হয়েছে এই ব্যবস্থা।
এদিন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের আওতাধীন কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠন (EPFO) প্রভিডেন্ট ফান্ডে প্রতারণা রুখতে এক গুচ্ছ নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে সেই নির্দেশাবলী পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ইপিএফওর আঞ্চলিক এবং উপ-আঞ্চলিক কার্যালয়গুলিতেও। প্রয়োজন মাফিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের। জানা গেছে, এবার থেকে ইপিএফ অ্যাকাউন্টে কোনোরকম তথ্য পরিবর্তনের জন্য ‘মাইনর’ এবং ‘মেজর’ সংশোধনকে আলাদা করে ভাগ করেছে শ্রমমন্ত্রক। ‘মেজর’ ক্ষেত্রেই কড়া হয়েছে নিয়মকানুন। বস্তুত, এর আগেও ইপিএফে আর্থিক প্রতারণার শিকার হয়েছেন বহু মানুষ। বারংবার এ বিষয়ে গ্রাহকদের সচেতনও করা হয়েছে। কোনোভাবেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত কোনো তথ্য কারোর সঙ্গে শেয়ার না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তৎসত্ত্বেও দেখা গেছে প্রতারণা।