প্রতিরক্ষা খাতে রফতানি বৃদ্ধি লক্ষ্যে এগোচ্ছে ভারত, বললেন মোদী

প্রতিরক্ষা খাতে রফতানি বৃদ্ধি লক্ষ্যে এগোচ্ছে ভারত, বললেন মোদী

নয়াদিল্লি: প্রতিরক্ষা খাতে ক্রমাগত শক্তি বৃদ্ধি করে চলেছে ভারত৷ আমদানি নয়, বরং রফতানির লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে দেশ৷ বদলে যাচ্ছে প্রতিরক্ষা সামগ্রী উৎপাদনের খোলনলচে৷ ৪০টিরও বেশি দেশে প্রতিরক্ষা সামগ্রী বিক্রি করছে ভারত৷ প্রতিরক্ষা সামগ্রীর অন্যতম রফতানিকারক দেশ হয়ে ওঠার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছি আমরা৷ সোমবার এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ 

আরও পড়ুন-  ভোটের মুখে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে ইস্তফা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

আত্মনির্ভরত ভারত গড়ে তোলার ডাক দিয়েছেন নমো৷ একটু একটু করে এগিয়ে চলেছে তাঁর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ মিশন৷ সোমবার এক ওয়েবিনারে কেন্দ্রীয় বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ অর্থের বাস্তবায়ন নিয়ে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী৷ সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘আজ আমরা ৪০টিরও বেশি দেশে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি করছি৷ প্রতিরক্ষা খাতে আমদানিকারক দেশগুলির তালিকা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে৷ বরং এই খাতে রফতানিকারক দেশ হয়ে উঠতে হবে৷’’

এদিন প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ তৈরির ক্ষেত্রে ভারতের শতাব্দী প্রাচীন অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও আজও আমাদের দেশ বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম প্রতিরক্ষা সামগ্রী আমদানিকারক দেশ। তিনি বলেন, ‘‘প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ভারত অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ সরসবরাহ করেছিল৷ কিন্তু স্বাধীনতার পর পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হয়েছে৷ এমনকী ছোটখাটো অস্ত্রের জন্যও আমাদের ছোট ছোট দেশগুলির উপর নির্ভর করতে হয়েছে৷’’ 

এর পরেই কোভিড পরিস্থিতিতে দেশ কী ভাবে কাজ করেছে, কী ভাবে ভেন্টিলেটর তৈরি করেছে, সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নমো বলেন, ‘‘আজও আমরা বৃহত্তম আমদানিকারক দেশ৷ এটি কোনও গর্বের কথা নয়৷ কিন্তু ভারতে মেধার কোনও খামতি নেই৷ আমাদের সামর্থেরও অভাব নেই৷ অতিমারির মধ্যেও ভেন্টিলেটর গড়ে তোলার ক্ষমতা আমাদের রয়েছে৷’’    

আরও পড়ুন-  কেন বাড়ছে পেট্রোল ডিজেলের দাম? এই ২ কারণকে দুষলেন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন,  ‘‘স্বাধীন ভারতে এই প্রথম প্রাইভেট সেক্টরগুলি দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে কাজ করার জন্য অনুপ্রাণিত হচ্ছে৷ প্রতিরক্ষার সঙ্গে জড়িত মানুষদের কাছে তাঁর আবেদন, নির্দিষ্ট সময় বেঁধে নিয়ে যথাযথ অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করতে হবে যা ভারতকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে৷ তাঁর কথায়, ‘‘যে দেশের মঙ্গলে পা দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে, তাঁরা অস্ত্র উৎপাদনেও সম্পূর্ণ সক্ষম ছিল৷ কিন্তু উৎপাদনের চেয়ে আমাদনি করাটা ছিল অনেক সহজ উপায়৷ আর আমরা সেই পথটাই বেছে নিয়েছিলাম৷’’

তবে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে  ১০০টি পণ্যের তালিকা তৈরি করা হয়েছে৷ যা  আমদানি করা হবে না, বরং তৈরি হবে ভারতের মাটিতে৷ এভাবেই  আত্মনির্ভর হয়ে উঠবে দেশ৷ বাড়বে কর্মসংস্থান৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × 2 =