ভোট বাজারে ঠিক কী কী প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে কংগ্রেস-বিজেপি?

আজ বিকেল: ভোটের বাজারে জনসমর্থন পেতে নিত্যনতুন প্রতিশ্রুতি দিতে শুরু করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে কল্কে পেতে একাজে বিশেষভাবে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি ও কংগ্রেস। মোদি চৌকিদার হয়ে জনগণের টাকা পাহারা দিতে চাইছেন, আর রাহুল গান্ধী রাফাল কেলেঙ্কারি করে অম্বানিদের টাকা পাইয়ে দেওয়া নিয়ে চৌকিদারকে দুষছেন। মোদি বলছেন জনগণের টাকা তিনি সুরক্ষিত রাখবেন, রাহুল বলছেন

ভোট বাজারে ঠিক কী কী প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে কংগ্রেস-বিজেপি?

আজ বিকেল: ভোটের বাজারে জনসমর্থন পেতে নিত্যনতুন প্রতিশ্রুতি দিতে শুরু করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে কল্কে পেতে একাজে বিশেষভাবে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি ও কংগ্রেস। মোদি চৌকিদার হয়ে জনগণের টাকা পাহারা দিতে চাইছেন, আর রাহুল গান্ধী রাফাল কেলেঙ্কারি করে অম্বানিদের টাকা পাইয়ে দেওয়া নিয়ে চৌকিদারকে দুষছেন।

মোদি বলছেন জনগণের টাকা তিনি সুরক্ষিত রাখবেন, রাহুল বলছেন চৌকিদার চোর হ্যায়। দুই দলই ইস্তেহারে প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিয়েছেন। কী রয়েছে সেই তালিকায় একবার দেখে নেওয়া যাক।
গরিব গুর্বোর ভোট পেতে বিজেপি প্রত্যেক পরিবারকে স্থায়ী ঘর দেবে বিজেপি। দেশের প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ ও শৌচাগার করে দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আর কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে প্রত্যেক গরিব পরিবারকে বছরে ৭২ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করা হবে। আসল ফেরত দেওয়া নিশ্চিত করলে এক থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনা সুদে ক্রেডিট কার্ডে ঋণ দেওয়া হবে।গ্রামীণ উন্নয়নে খরচ করা হবে ২৫ লক্ষ টাকা। কিষাণ সম্মান ফান্ডের সুবিধা পাবেন প্রত্যেক কৃষকই। ৬০ বছর পরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের পেনশন দেওয়া হবে।বিজেপিরএহেন প্রতিশ্রুতির পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেস বলেছে কৃষকদের জন্য আলাদা বাজেট পেশ করা হবে।

কৃষকরা ঋণ পরিশোধ করতে না পারলে তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার পরিবর্তে দেওয়ানি মামলা হবে। মহাত্মা গান্ধী জাতীয় রোজগার নিশ্চয়তা প্রকল্পে ১৫০ দিন নিশ্চিত করা হবে।

বিজেপি দেশের ২২টি মূল ক্ষেত্রে যতদূর সম্ভব কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে কর্মসংস্থানের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে।গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০ লক্ষ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। তিন বছরের জন্য ব্যবসা শুরুর জন্য দেশের যুবকদের কারও কাছে অনুমতি নিতে হবে না।

প্রতিরক্ষা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা প্রতিটি ক্ষেত্রেই লাভজনক প্রতিশ্রুতি দিতে যুযুধান দুপক্ষই কার্পণ্য করেনি। এবার ভোটের ফলাফলেই দেখা যাবে ইস্তেহারের প্রভাব কতটা সুদূরপ্রসারী হতে চলেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × one =