চাপে পড়ে গো-বিজ্ঞান পরীক্ষা স্থগিত করল কামধেনু আয়োগ

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এভাবে অলৌকিক অবৈজ্ঞানিক বিষয়ের প্রচার করা হচ্ছে 

নয়াদিল্লি: গোরুকে নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর এখন আর এদেশে নতুন নয়। এর আগেও একাধিকবার রাজনীতির আঙিনায় উঠে এসেছে এই নিতান্ত নিরীহ গৃহপালিত পশুর নাম। সম্প্রতি ভারতের গোরুকেন্দ্রিক রাজনীতিতে যোগ হয়েছে বৈজ্ঞানিক মাত্রাও। পুরোদমে শুরু হয়েছে গো-বিজ্ঞান চর্চা। কিন্তু সূচনালগ্নেই একপ্রকার হোঁচট খেল কামধেনু আয়োগের গো-বিজ্ঞান।

দেশ জুড়ে তুমুল বিরোধিতা আর সমালোচনার মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে গেল ২০২১ সালের গো-বিজ্ঞান পরীক্ষা। জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগ এই পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষার দিন ধার্য হয়েছিল। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কবে পরীক্ষা হবে তা পরে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে পরীক্ষার্থীদের রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট kamdhenu.govt.in -এ চোখ রাখতে বলা হয়েছে। 

ঠিক কী কারণে পিছিয়ে দেওয়া হল গো-বিজ্ঞান পরীক্ষা? জানা গেছে, এই পরীক্ষা নিয়ে দেশ জুড়ে নানা ক্ষেত্র থেকে প্রবল সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছে কেন্দ্র সরকার। গোরু সংক্রান্ত অলৌকিক এবং অবৈজ্ঞানিক বিষয়বস্তুকে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সরকারি উদ্যোগে, এমনটাই অভিযোগ এসেছে নানা মহল থেকে। সূত্রের খবর, বহু বিজ্ঞানী এবং বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠান অবিলম্বে কেন্দ্রের এই পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়েছিলেন। তাঁদের অভিযোগ এই পরীক্ষার জন্য যে সমস্ত পাঠ্য বিষয় দেওয়া হয়েছে তা নামেই কেবল বৈজ্ঞানিক, তার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। চাপে পড়ে তাই পরীক্ষা স্থগিত রাখতে বাধ্য হয়েছে কামধেনু আয়োগ।

২১ ফেব্রুয়ারি এই পরীক্ষার মক টেস্টেরও আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু বলা বাহুল্য, বাতিল হয়েছে তাও। রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের দাবি, এই গো-বিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য বিদেশ থেকেও এসেছে আবেদন। পাকিস্তান বাংলাদেশ নেপালসহ মোট ৫২টি দেশ থেকে ৫ লাখেরও বেশি পরীক্ষার্থী এর জন্য আবেদন জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, গো-বিজ্ঞান পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে সরাসরি ‘না’ করে দিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × 1 =