নয়াদিল্লি: ফের গরু কাণ্ড৷ গরু নিয়ে রাজনীতি চলছেই৷ সে গো-পুজো হোক বা করোনায় গোমূত্র পান৷ এবার পরীক্ষার খাতাতেও গরু বিদ্যা৷ চলতি মাসের ২৫ ফেব্রুয়ারি এই পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলে বিতর্কের মুখে তা স্থগিত রাখার ঘোষণা করা হয়েছে৷ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি এই পরীক্ষার ব্যবস্থা করার কথা ছিল৷ এনিয়ে ইতিমধ্যেই নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে শিক্ষামহলে৷
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তরফে ইনস্টিটিউটদের শিক্ষার্থীদের ‘গাভী বিজ্ঞান পরীক্ষায়’ নাম লেখাতে উৎসাহ দিতে বলা হয়৷ ‘পবিত্র গরু’ নিয়ে দেশের অনলাইন পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল দেশের পাঁচ লাখেরও বেশি পরীক্ষার্থীর৷ ইউজিসি ৯০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের কাছে চিঠি লিখে তাঁদের অনুরোধ করেছিল, যাতে তাঁরা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশ নিতে অনুরোধ করেন৷ এটি কামধেনু গৈ বিজ্ঞান প্রচার-প্রসার পরীক্ষা নামে পরিচিত।
এটি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও সিনিয়র মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং সকল নাগরিকের জন্য দরজা খোলার কথা থাকলেও তা আপাতত হচ্ছে না৷
প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া, সাধারণ জনগণ ও এনআরআইরা এই পরীক্ষায় দিতে পারতেন৷ ইংরেজি ছাড়াও পরীক্ষাটি হিন্দি, গুজরাটি, সংস্কৃত, পাঞ্জাবি, মারাঠি, কন্নড়, মালায়ালাম, তামিল, বাংলা, তেলেগু এবং ওড়িয়া-সহ ১১টি আঞ্চলিক ভাষায় নেওয়ার সুযোগ ছিল৷ কেন্দ্রীয় মৎস্য, পশুপালন ও ডেইরিং মন্ত্রক জানিয়েছে, সমস্ত অংশগ্রহণকারী শংসাপত্র পাবেন৷ সফল পরীক্ষার্থীদের পুরষ্কারও দেওয়ার কথা ছিল৷