কলকাতা: কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে প্রথম দফায় ভোট৷ প্রস্তুতি শেষ৷ এবার পালা ভোটগ্রহণের৷ কিন্তু, প্রথম দফার নির্বাচনে নিরাপত্তার বন্দোবস্ত যা করা হয়েছে, তাতে আশান্তির আশঙ্কা দেখছেন পর্যবেক্ষক মহল৷ বুধবার কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রথম দফা নির্বাচনে দুটি কেন্দ্রে সব বুথে থাকছে না আধা সামরিক বাহিনী৷ অধিকাংশ বুথেই থাকছে ‘মমতা’র পুলিশ৷
জানা গিয়েছে, কোচবিহারের ৮৫৭টি বুথে থাকছে না আধা সামরিক বাহিনী৷ বাহিনী থাকছে ১১৫৩টি বুথে৷ আলিপুরদুয়ারে ১০২০ বুথে থাকছে না বাহিনী৷ বাহিনী থাকবে ৮১৪টি বুথে। তবে, কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকা বুথে ওয়েবকাস্টিং ব্যবস্থা থাকছে৷
কমিশন সূত্রে খবর, এবার কোচবিহারে মোট বুথ ২০১০টি৷ আলিপুরদুয়ারে বুথের সংখ্যা ১৮৩৪টি৷ দু’টি কেন্দ্রেই রয়েছে বহু সংখ্যক স্পর্শকাতর বুথ৷ আলিপুরদুয়ারে ১৮৩৪টি বুথের মধ্যে ৫৪৪টি বুথ স্পর্শকাতর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে৷ কোচবিহারে স্পর্শকাতর বুথসংখ্যা ১১৫৩৷
কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, কোচবিহারের ৮৫৭টি বুথে এবং আলিপুরদুয়ারের ১০২০ বুথে থাকবে না কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ কোচবিহারে মোট ৪৭ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে বুথ পাহারায় থাকবে ৪৫ কোম্পানি৷ কোচবিহারের ১টি ভোটকেন্দ্রে ২টি বুথ পর্যন্ত ৪ জন করে আধাসেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ ১টি ভোটকেন্দ্রে ২টির বেশি বুথ থাকলে মোতায়েন থাকবে ৮ জন করে আধাসেনা৷ বাকি ২ কোম্পানির মধ্যে ১ কোম্পানি আধাসেনা কুইক রেসপন্স টিমে কাজ করবে৷ আর ১ কোম্পানি বাহিনী স্ট্রংরুমের নিরাপত্তায় থাকবে৷
আলিপুরদুয়ারে ১৮৩৪টি বুথের মধ্যে ৫৪৪টি বুথ স্পর্শকাতর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে৷ আলিপুরদুয়ারে মোট ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে মোট ৮১৪টি বুথে৷ ১০২০টি বুথে থাকবে রাজ্য পুলিশ৷ দুই জেলা মিলিয়ে ৫৩৩টি বুথে ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা থাকছে বলে জানিয়েছে কমিশন৷ মোবাইল নিয়ে বুথে ঢোকা যাবে না৷ ভোট করাতে গিয়ে কোনও ভোটকর্মীর মৃত্যু হলে নিয়ম অনুসারে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে৷