নয়াদিল্লি: ভারত, আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে প্রথমবারের জন্য সংঘটিত হয়েছিল Quadrilateral Security Dialogue বা কোয়াড-এর অন্তর্ভুক্ত দেশের প্রতিনিধিদের বৈঠক। এই বৈঠকের প্রথমবার আনুষ্ঠানিকভাবে মুখোমুখি হয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই বৈঠকে যোগ দিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক উন্নতির প্রসঙ্গ তুলে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, এই বৈঠক আন্তর্জাতিক উন্নতির পথ প্রশস্ত করতে সামনে থেকে পদক্ষেপ নেবে। এছাড়াও করোনা ভ্যাকসিন, গ্লোবাল ওয়ার্মিং সহ উন্নততর প্রযুক্তি নিয়ে একাধিক বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি গোটা বিশ্বে। সেই প্রেক্ষিতে জানা গিয়েছিল করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে এই বৈঠকে আর্থিক চুক্তি করা হতে পারে। সেই উদ্যোগে এখন অগ্রসর হচ্ছে দেশগুলি। একই সঙ্গে ভ্যাকসিন উৎপাদনের পরিকাঠামো কে উন্নত করার জন্য আলোচনা হয়েছে এই বৈঠকে। এর পাশাপাশি আঞ্চলিক শান্তি বজায় রাখা এবং বিশ্বশান্তি বিষয়ক একাধিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এদিকে যেহেতু বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্রপ্রধানরা এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করছেন, তাই ভারতের সঙ্গে চিনের বিবাদ নিয়ে আলোচনা হবে সেটা আন্দাজ করতে পেরেছিল বেজিং সরকার। সেই ক্ষেত্রে আগে ভাগেই তারা বার্তা দিয়েছিল যে ভারত এবং চিন পরম বন্ধু। এছাড়া এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ধর্মনিরপেক্ষতা এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল শান্তি বজায় রাখার কথা উল্লেখ করেছেন এই বৈঠকে।
আরও পড়ুন- নন্দীগ্রামকাণ্ডে দিল্লিতে রিপোর্ট পাঠাল কমিশন, দ্বিতীয় দফায় বিপুল প্রার্থীর মনোনয়ন!
উল্লেখ্য, বাণিজ্যিক এবং রণকৌশলগত ভাবে একাধিক বিষয়ে আলোচনা এবং সমন্বয়ের জন্য একে একে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এই দেশগুলি। ১৯৯২ সাল থেকে আমেরিকার সঙ্গে নৌ মহড়া শুরু করেছিল ভারত পরবর্তী ক্ষেত্রে সেখানে যোগ দেয় জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া। এই প্রেক্ষিতে চিনের দুশ্চিন্তা করা একেবারেই অস্বাভাবিক নয়।কারণ ভারতের সঙ্গে বিবাদ সৃষ্টি করার পর এবং একাধিকবার পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সমর্থন করার পর সারা বিশ্বের কার্যত কুনজরে চলে গেছে বেজিং সরকার। সেই প্রেক্ষিতে শক্তিশালী এই চার দেশের একজোট হওয়া তাদের কপালে ভাঁজ ফেলবেই।