আজ বিকেল: দেশকে পরাধীনতার বেড়ি মুক্ত করতে একদিন ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়েছেন। লড়াই করতে গিয়ে লালমুখো সাহেবের লাঠির বাড়ি হাড়ের কাঠামোকে নড়বড়ে করলেও মেরুদণ্ডকে ঋজুই রেখেছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এতগুলো বছর কেটেছে, স্বাধীনতা আনতে যাঁরা মরণ পণ করেছিলেন তাঁদের উত্তরাধিকারীরা কিন্তু দেশ গঠনে তার ছিটেফোটাও ত্যাগ করেনি।
ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে, তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশের তকমানিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ক্ষয়িষ্ণু ভারত। যার সর্বাঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদের হাতছানি, সন্ত্রাসবাদের চোখ রাঙানি। ধর্মের নামে বিভাজন, দেশবাসীকে ঠকিয়ে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে গিয়ে ধর্মে মহান হওয়া সেদিনের ভারতে আজ গোরক্ষার নামে মানুষ খুন হচ্ছে। তারপরেও নবতীপর চোখে সুজলা সুফলা দেশের স্বপ্ন দেখে চলেন ৮৯ বছরের গোবাল চন্দ্র ভক্ত।
হুগলির আরামবাগের এই বৃদ্ধ শারীরিক অসুস্থতার কারণে এখন আর মাঠেঘাটে ঘাম ঝড়াতে পারেন না। তবে ছেলেমেয়ে নাতি নাতনি, বউমা, স্ত্রীকে নিয়ে তাঁর ভরা সংসার। এখনও মাইল তিনেক হেঁটে সাপ্তাহিক বাজার সারেন প্রতিবেশী গ্রামের হাট থেকে। এখনও সুদিনের অপেক্ষা করেন তিনি। সেই সুদিন যেখানে দেশের দশের উন্নতির জন্য রাজনৈতিক নেতাদের গালভরা বুলি আওড়াতে হবে না।
ক্ষেদের সঙ্গে জানালেন, পরাধীন দেশে যারা ইংরেজের দালালি করত তারাই আজ দেশ চালাচ্ছে। তাহলেই বোঝ দেশের হাল কতটা ভাল হবে। তবুও বলব আশা ছেড়ো না, একমাত্র ভোটাধিকারই এই অসম লড়াইকে কোনও একসময় সুস্থতার বার্তা দিতে পারবে। লোকসভা নির্বাচনে বিচার বিবেচনা করুন, তবে নোটাতে বোতাম টেপার ইচ্ছে হলেও ভোট কেন্দ্রে যান। ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন।