আমিও ইংরেজি বলতে পারি! স্নাতক দিনমজুরের প্রতিভা ভাইরাল সোশ্যাল দুনিয়ায়

আজ বিকেল: দ্য লাল্লান টপ, এই নিউজ পোর্টালই বদলে দিল বিহারের রেখাচিত্র। বিহার নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে রুখা সুখা মাটি, খাপড়ার চাল, ছাতুর সরবত, লিট্টি। দেহাতি ভাষা মানেই বিহার, সেই বিহারের মাটিতে দাঁড়িয়ে যখন দিনমজুর ভাই ইংরেজিতে জানতে চাইবেন কেন তিনি আন্তর্জাতিক ভাষায় কথা বলতে পারবেন না। তখন তো মহান ভারতের চিহ্ন স্পষ্ট

a3d499173b2a3d8e7dadfc9947129270

আমিও ইংরেজি বলতে পারি! স্নাতক দিনমজুরের প্রতিভা ভাইরাল সোশ্যাল দুনিয়ায়

আজ বিকেল: দ্য লাল্লান টপ, এই নিউজ পোর্টালই বদলে দিল বিহারের রেখাচিত্র। বিহার নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে রুখা সুখা মাটি, খাপড়ার চাল, ছাতুর সরবত, লিট্টি। দেহাতি ভাষা মানেই বিহার, সেই বিহারের মাটিতে দাঁড়িয়ে যখন দিনমজুর ভাই ইংরেজিতে জানতে চাইবেন কেন তিনি আন্তর্জাতিক ভাষায় কথা বলতে পারবেন না।

তখন তো মহান ভারতের চিহ্ন স্পষ্ট হবেই, হয়েছেও তাই। ১৯-র লোকসভা ভোটে বিহারের হাল হকিকত জানতে সৌরভ ত্রিপাঠী বেরিয়ে পড়েছিলেন। ব্যবসায়ী থেকে গৃহবধূ, সরকারি চাকুরে থেকে কর্পোরেটজীবী, সবার বক্তব্য শোনার পর মজদুর শ্রেণির ভারত কী বলছে জানার ইচ্ছে ছিল তরুণ সাংবাদিকের। আর তা জানতে গিয়েই বেরিয়ে পড়ল অজানা তথ্য।

প্রশ্নের আগেই ভিড় থেকে চলে এল ঝটিতি উত্তর, ‘আই ওয়ান্ট টু ওয়ার্ক।’ ভুরু তুলে, অবাক ত্রিপাঠির মুখে তখন একটাই প্রশ্ন,’ইংরাজি?’ প্রৌঢ়ের পাল্টা,  ‘হোয়াই নট?’ এরপর ইংরেজি আর শহুরে হিন্দিতে উত্তর দিয়ে গেলেন চেক শার্টের প্রৌঢ়। হতবাক সাংবাদিকের মুখে তখন চওড়া হাসি গজব, ভাইসাব তো আংরেজি বোল না শুরু কর দিয়া।ভোটের বাজারে এহেন ভিডিও ভাইরাল হবে না তো কী, হয়েছেও তাই শেয়ার লাইকের ঝড় উঠে গিয়েছে। প্রৌঢ় ইন্দিরাগান্ধীর আমলে এমএ পাশ করেছেন। এতদিন প্রয়োজন হয়নি তাই চাকরির চেষ্টা করেননি। এখন করছেন, চাকরি পেলে তাঁর ভালই লাগবে। তবে ইংরেজি বলে চাকরি চাইছেন না। পরিশ্রম করে চাকরি পেতে চাইছেন। পরিশ্রমের ফসলকেই নিজের মনে করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সেরা বলতে তাঁর কার্পণ্য নেই। তবে মোদি যদি শ্রমিক স্বার্থ দেখে রোজগারের সুযোগ করে দেন তো ভালই হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *