শ্লীলতাহানির পর রাখি পড়ালেই জামিন! হাইকোর্টের নির্দেশ খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট

মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে গিয়েছিলেন মহিলা আইনজীবীরা

28c56d5f266da3e09c4758052042a301

মধ্যপ্রদেশ: শ্লীলতাহানির পর অভিযোগকারী মহিলা এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির মধ্যে ‘ভাই-বোনের’ সম্পর্ক গড়তে চেয়েছিল মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট। বলা হয়েছিল, রাখি পড়িয়ে দিলেই পাওয়া যাবে জামিন। কিন্তু শীর্ষ আদালতে এই রায় ধোপে টিকলো না। পত্রপাঠ হাইকোর্টের নির্দেশ বাতিল করল সুপ্রিম কোর্ট।

সূত্রের খবর, গত বছরের একটি শ্লীলতাহানির মামলা মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে বিচারাধীন হলে বিচারপতি জানিয়েছিলেন রাখি পড়ানোর কথা। অর্থাৎ এই শর্তেই জামিন পাবেন শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার ৯ জন মহিলা আইনজীবীর দায়ের করা পিটিশনের শুনানিতে এই রায় বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

ঠিক কী ঘটেছিল? জানা গেছে, ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে শ্লীলতাহানির অভিযোগ অভিযুক্ত এক ব্যক্তি জামিনের আবেদন করেন। এক প্রতিবেশী মহিলার উপরে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। পরে ওই বছরের ৩০ জুলাই মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের ইন্দোর বেঞ্চ ওই ব্যক্তিকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেয়। সেই শর্তাবলীর মধ্যেই বলা হয়েছিল, রাখি পূর্ণিমার দিন অভিযোগকারী প্রতিবেশী মহিলার বাড়ি গিয়ে রাখি পড়তে হবে অভিযুক্তকে। শুধু তাই নয়, রাখি পড়ার ছবিও আদালতে পেশ করতে হবে বলে জানিয়েছিলেন আদালতের বিচারপতি। প্রকৃতপক্ষেই মহিলার ভাই হয়ে গিয়ে তাঁকে রক্ষার দায়িত্ব পালন করার কথা বলা হয়েছিল শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে।

মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের শর্তাবলীর মধ্যে নানা বিচিত্র কথা ছিল বলেই জানা গেছে সূত্রের খবরে। অভিযোগকারিনীকে ১১ হাজার টাকা এবং তাঁর ছছেলের জামাকাপড় কেনার জন্য ৫ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এরপর মামলা ওঠে সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালত জামিনের এই রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়। অক্টোবর মাস নাগাদ ওই ব্যক্তির জামিন আটকে যায় শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এএম খানুইলকারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার জানায়, শ্লীলতাহানির মামলায় এই ধরণের নির্দেশ অপরাধকে লঘু করে দেয়, যা কাঙ্ক্ষিত নয় একেবারেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *