সুরক্ষিত ইলেকটোরাল বন্ড, কেনাবেচায় স্থগিতাদেশ নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

সুরক্ষিত ইলেকটোরাল বন্ড, কেনাবেচায় স্থগিতাদেশ নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

0feaf4c2ad9cb9aae9f66ea5e14d12c7

নয়াদিল্লি: ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যে ১ এপ্রিল থেকে নির্বাচনী বা ইলেকটোরাল বন্ড কেনাবেচার ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ জারি করল না সুপ্রিম কোর্ট৷ নির্বাচনী বন্ড বিক্রি প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে বন্ড কেনাবেচার উপর নিষেধাজ্ঞা জারির আর্জি জানিয়েছিল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাট রিফর্মস’। কিন্তু তাদের সেই দাবিকে খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত৷ 

আরও পড়ুন- মুম্বইয়ের করোনা হাসপাতালে ভয়ঙ্কর আগুন! মৃত্যু একাধিক, বাড়ছে আতঙ্ক

শুক্রবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্ট জানায়,  ‘‘১ এপ্রিল থেকে নতুন করে ইলেকটোরাল বন্ড ছাড়া যাবে৷ ২০১৮ এবং ২০১৯-এ বিনা বাধায় বন্ড ছাড়া হয়েছিল৷ এখানে পর্যাপ্ত সুরক্ষাও রয়েছে৷ তাই বন্ড কেনাবেচার উপর স্থগিতাদেশ জারি করার কোনও যৌক্তিকতা নেই৷’’ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে, বিচারপতি এএস বোপান্না এবং ভি রামাসুব্রহ্মণ্যমের বেঞ্চ এদিন জানায়, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দায়ের করা আবেদন খতিয়ে দেখার পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ উল্লেখ্য, ভারতের নির্বাচন কমিশনও ইলেকটোরাল বন্ডের উপর স্থগিতাদেশ জারির বিরোধিতা করেছিল৷ সেই সঙ্গে কমিশনের তরফে বলা হয়েছিল, তারা ইলেকটোরাল বন্ডের বিরোধী নয়৷ তবে এক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতার প্রয়োজন রয়েছে৷    

আরও পড়ুন- প্রতিবাদই সার, ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ হবেই! সাফ জানালেন RBI কর্তা

প্রসঙ্গত, দেশের পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখে আগামী ১ এপ্রিল থেকে ১০ এপ্রিল ইলেকটোরাল বন্ড কেনাবেচার জন্য যে ‘উইন্ডো’ খোলা হয়েছে, তা বন্ধ করার আবেদন জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা৷ রাজনীতি এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সংস্কারের মাধ্যমে কীভাবে স্বচ্ছতা আনা যায়, সেই বিষয়েই কাজ করছে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাট রিফর্মস। তাঁদের দাবি ছিল, ইলেকটোরাল বন্ড নিয়ে যে অস্বচ্ছতার দাবি উঠেছে, তা স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত বন্ড বিক্রি স্থগিত রাখা হোক৷ সংস্থার আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ আদালতকে জানান, বেনামে ইলেরটোরাল বন্ড কেনার অর্থ হল কিছু সংস্থাকে কালো টাকা পাচারে সাহায্য করা৷ আর অনুদানের নাম করে রাজনৈতিক দলকে ঘুষ দেওয়া হচ্ছে এই ইলেকটোরাল বন্ড কেনাবেচার মাধ্যমে৷ ‘রাজনৈতিক নৈতিকতা’ নয়, ‘গণতান্ত্রিক নৈতিকতা’র প্রশ্নে গোটা প্রক্রিয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত৷ যদিও তাঁদের দাবি খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *