নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই আতঙ্কিত গোটা দেশ। এবার এই পরিস্থিতির মধ্যে হঠাৎ বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন দেশের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। জানা গিয়েছে, আপাতত তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। তবে জানানো হয়েছে, আশঙ্কার আপাতত কোনো কারণ নেই।
হাসপাতালে পক্ষ থেকে মেডিকেল বুলেটিন প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, আচমকা বুকে ব্যথা শুরু হয় রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের। সেই কারণে তৎক্ষণাৎ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কোন রকম ঝুঁকি না নিয়ে। সেই প্রেক্ষিতে অল্পসময়ের মধ্যেই মেডিকেল টিম গঠন করা হয় এবং চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয় তাঁকে। রাষ্ট্রপতি ভবন জানাচ্ছে যে উদ্বেগের কোন কারণ নেই। সামান্য কিছু শারীরিক সমস্যার কারণেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যদিও বুকে ব্যথা হওয়ার কথা এড়িয়ে তারা রুটিন চেক আপের কথা বলছে। সম্প্রতি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের প্রথম জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তাই অনেকের মতে সেই ভ্যাকসিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। কারণ ইতিমধ্যেই দেশের একাধিক জায়গায় ভ্যাকসিন নেওয়ার পর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। তাই রাষ্ট্রপতির ক্ষেত্রেও এই বিষয়টি অস্বাভাবিক নয় বলে মনে করা হচ্ছে। তবে আপাতত ভ্যাকসিন সংক্রান্ত কোন বিষয় নিয়ে মন্তব্য করা হয়নি রাষ্ট্রপতি ভবন কিংবা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে।
আরও পড়ুন- গভীর রাতে তুমুল হট্টগোলের মধ্যেই পাস দিল্লির বিতর্কিত বিল! ক্ষুব্ধ কেজরিওয়াল
প্রসঙ্গত, এবার আরও অশনি সংকেত দিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্কের রিপোর্ট। জানান হয়েছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের দেশের সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা শীর্ষে পৌঁছবে এপ্রিলের শেষেই। টানা ১০০ দিন দাপট রেখে এই ঘটনা ঘটাবে নোভেল করোনাভাইরাস। স্টেট ব্যাঙ্কের রিপোর্ট বলছে, ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে টানা ১০০ দিন এই দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিস্তার থাকবে। ২৩ মার্চ পর্যন্ত দেশে দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে দেশে আক্রান্ত হতে পারেন ২৫ লক্ষ মানুষ। ২৮ পাতার এই রিপোর্টে স্টেট ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, লকডাউন ও স্থানীয় বিধিনিষেধ সংক্রমণ রুখতে একেবারেই সক্ষম হয়নি। তবে এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে একমাত্র আশার আলো হতে পারে ভ্যাকসিন।